নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫ ০১:২৪ এএম
বিএনপি আজ জনগণবিরোধী এক পরিণতির পথে হাঁটছে: নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী
বিএনপিকে জনগণবিরোধী এক পরিণতির পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “চুপ্পুর অপসারণ হোক বা জুলাই ঘোষণাপত্র—বিএনপি সবসময়ই জনগণের পক্ষে নেওয়া উদ্যোগে বাধা দিয়েছে বা নির্লিপ্ত থেকেছে। দলটি এখন কেবল পুরোনো রাজনৈতিক সমঝোতা ও শাসকগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। এমনকি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতেও তাদের অবস্থান ছিল নীরব।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি কখনোই জনগণের পক্ষে কোনো আন্দোলনে দেখা যায়নি। তারা রাজপথে নামে কেবল নিজেদের ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য। ইশরাক হোসেনের মেয়র প্রার্থিতা ঘিরে বিএনপির সাম্প্রতিক আচরণ ফের প্রমাণ করেছে, দলটি কেবল নিজেদের এজেন্ডা নিয়েই চিন্তা করে—বাংলাদেশের মানুষের জন্য তাদের কোনো সংগ্রাম, প্রতিশ্রুতি বা আত্মত্যাগ নেই।”
বিএনপির বর্তমান চরিত্র নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আজ বিএনপি হয়ে উঠেছে কিছু বয়স্ক রাজনীতিকের ক্ষমতা চর্চার প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ইশরাকের মতো তরুণ নেতাকেও একটি মেয়র পদের জন্য রাস্তায় বসে থাকতে হয়।”
নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর দাবি, গত ১৬ বছরে ভুল নেতৃত্ব ও কৌশলগত ব্যর্থতায় বিএনপি নিজেদের ভেতরের জাতীয়তাবাদী কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে ফ্যাসিবাদী দমননীতির মুখে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “বিএনপি আজকের জুলাই অভ্যুত্থানকেও দেখছে কেবল একটি ক্ষমতার পালাবদল হিসেবে—তাদের কাছে এটি কোনো জাতীয় রূপান্তরের আন্দোলন নয়।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ঢাকার জনগণকে জিম্মি করে বিএনপি এখন একটি মেয়র পদ নিয়েও নাটক করছে। তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে আরেকটি এক-এগারোর পথে হাঁটতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার—পুরোনো সমঝোতায় ফিরে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতা নিশ্চিত করা।”
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “তারা হয়তো ভাবছে ছাত্র-জনতা ঘরে ফিরে গেছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না—একটি পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছে, সেটিকে রোধ করে আরেকটি মাফিয়াতন্ত্র টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে উঠবে। জুলাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজপথে আবার দেখা হবে।”
এই বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ//হ.র