গুলিস্তানে মিছিলের চেষ্টা, আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক
রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিলের চেষ্টা করায় দলটির ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
রবিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় গুলিস্তানের ২৩ শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ (সাবেক বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া উইংয়ের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, “রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় মিছিল করার সময় আওয়ামী লীগের ১১ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
তবে ঠিক কী কারণে তারা মিছিল করছিলেন কিংবা তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
আটকের পর এলাকাটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আমরা আজ একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি। সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটাকে গড়তে হবে।রোববার (১৮ মে) লন্ডনের স্থানীয় সময় একটি হোটেলে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।তারেক রহমান বলেন, আমরা সরকারের কাছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এই নির্বাচনের জন্য আমাদের বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। গুম হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এটি মানুষের রাজনৈতিক অধিকার। আমরা এর মাধ্যমে এমন একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠান করতে চাই। যে সরকার মানুষের রাজনৈতিক কল্যাণে কাজ করবে।তিনি বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে যারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে রি-প্রেজেন্ট করবে তাদের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে। দেশের সকল বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রয়োজনে খেলোয়াড় তৈরি করতে সিলেবাসে পরিবর্তন আনা হবে।তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের চারটি বিভাগে বিকেএসপি রয়েছে। আমরা সরকার গঠন করলে প্রথমে সকল বিভাগে একটি করে বিকেএসপি করবো। যাতে ভালোমানের খেলোয়াড় তৈরি হয়।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ঢাকা শহরে ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ গঠন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি। অন্তত দুটি ওয়ার্ডের মাঝখানে যদি তিন থেকে চার বিঘা জমি বের করা যায় সেখানে মাঠ করা হবে। বাচ্চারা খেলবে, মুরুব্বিরা হাঁটবে। অর্থাৎ মানুষ সেখানে বুক ভরে শ্বাস নিতে পারবে। ঠিক এমন একটি চিন্তা আমাদের আছে।আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্টের শরফরাজ আহেমদ শরফুর সঞ্চালনায় ও আবু নাসের শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আরো বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মীর শাহে আলম, বগুড়ার বিএনপির সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার, ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ডা. সরকার মাহমুদ আহমেদ শামীম প্রমুখ।এই অনুষ্ঠানের আয়োজকরা হলেন, ফজলে রহমান (পিনাক), শেখ সাদেক, ডালিয়া বিনতে লাকুরিয়া, আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল, শাকিল চৌধুরী, আব্দুস সামাদ রাজ, ফাহিদুল আলম (ফরহাদ), অঞ্জনা আলম, মনোয়ার হোসেন, আলম শিমু, শফিউল আলম মুরাদ, কামরুজ্জামান চৌধুরী পাউন্ড ও তুহিন মোল্লা প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
‘করিডোর’ নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে দেশের জন্য বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সরকার করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, বিনিয়োগ সম্মেলন করছে—যা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এভাবে সময় নষ্ট করে তারা কী বোঝাতে চাইছে? চট্টগ্রাম বন্দরের হস্তান্তরসহ এসব সিদ্ধান্তের পেছনে কার ম্যান্ডেট?”নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমীর খসরু বলেন, “ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না। তিন মাস সময় নিয়ে নির্বাচন আগস্ট, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে করা সম্ভব। বিলম্ব যত বাড়ছে, মানুষের শঙ্কাও বাড়ছে, তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।”সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, “যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো এক দিনের মধ্যেই ঘোষণা দেওয়া সম্ভব। এত সময় নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ঐকমত্য যেসব বিষয়ে হয়েছে, সেগুলো প্রকাশ করে দ্রুত রোডম্যাপ দিতে হবে।”তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের লক্ষণ সরকারকে দেখাতে হবে। আমি মনে করি, এখনই ঘোষণা দেওয়া উচিত, ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করে কোনো লাভ নেই।”ইশরাক হোসেন প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি আদালতের আদেশ থাকে, তাহলে বাস্তবায়নে বাধা কোথায়? আইন যদি সত্যিই কার্যকর হয়, তবে এমনটা হওয়ার কথা নয়।”সরকারের বিভিন্ন পদে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক নেই—এমন লোকদের একের পর এক দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, অথচ জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।”তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “আমরা কোনো ব্যক্তিগত এজেন্ডার ভিত্তিতে সংস্কার চাই না। জনগণের ইচ্ছায় একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সংস্কার হতে হবে। জনগণ তার মালিকানা ফিরে পেতে চায়, চায় একটি নির্বাচিত সরকার।”খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমীর খসরু বলেন, “তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে শান্তিতে আছেন। দেশ গণতন্ত্রের পথে এগোচ্ছে—এ ভাবনায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন। তবে যতক্ষণ না একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়, ততক্ষণ তার ত্যাগ ও অবদানের পূর্ণতা আসবে না।” ভোরের আকাশ//হ.র
রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিলের চেষ্টা করায় দলটির ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।রবিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় গুলিস্তানের ২৩ শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ (সাবেক বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া উইংয়ের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, “রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় মিছিল করার সময় আওয়ামী লীগের ১১ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”তবে ঠিক কী কারণে তারা মিছিল করছিলেন কিংবা তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।আটকের পর এলাকাটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ//হ.র
খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে হাতপাখার প্রার্থী আব্দুল আউয়ালকে বিজয়ী ঘোষণার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। রোববার (১৮ মে) কেসিসি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল বাদী হয়ে খুলনা যুগ্মজেলা জজ-১ম বিচারক মোঃ খোরশেদ আলমের আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইবুনালে এ মামলার আবেদন দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ১২ জুন’ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের র্প্রাথী তালুকদার আব্দুল কালেককে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।বাদী মামলার আবেদনের আরজিতে বলেন, ২০২৩ সালের ১২ জুন হামলা-মামলার মধ্যে দিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হয় এবং বুথ থেকে হাতপাখার এজেন্টদের মারধোর করে বের করে দেয়া হয়। সারাদিন আতংক সৃষ্টি করে জালিয়াতি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ১৫৪,৮২৫ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীকে ৬০,০৬৪ ভোট দেখিয়ে ২য় দেখানো হয়। প্রকৃত পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে জনতা ভোট দিতে পারলে হাতপাখার প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হতো। জনতার সাথে কৃত এই জালিয়াতির প্রতিকার চেয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিধিমালা ২০২১ এর ৯১ বিধির বিধানের অধিনে জনাব আব্দুল খালেকের ফলাফল বাতিল করে প্রকৃত বিজয়ীকে জয়ী ঘোষণার আরজি জানানো হয়। আদালত আগামী ২৮মে শুনানির দিন ধার্য করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, ইসলামী আন্দোলন খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মোহা. নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের, সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, প্রচার ও দওয়া বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম কাবির, মোঃ ফেরদৌস গাজী সুমন, মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বন্দ, মোহাম্মদ বাদশা খান, নুরুজ্জামান বাবুল, মোঃ মমিনুল ইসলাম নাসিব, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মেহেদী হাসান সৈকত, মাওলানা নাসিম উদ্দিন, মোঃ সজিব, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী যুব আন্দোলন মহানগর সভাপতি আব্দুর রশিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মাহদী হাসান মুন্না, হাবিবুল্লাহ মেজবাহ, আমিনুর ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। ভোরের আকাশ/এসআই