× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শীর্ষ ১১ নেতাকে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে : জামায়াত আমির

ভোরের আকাশ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫ ০৮:০০ এএম

শীর্ষ ১১ নেতাকে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে : জামায়াত আমির

শীর্ষ ১১ নেতাকে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে : জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাজানো পাতানো আদালত ও মিথ্যা সাক্ষীর মধ্য দিয়ে ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ (বিচারিক হত্যা) করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।তিনি বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে জামায়াতের এই নেতাদের হত্যা করা হয়। দলের শীর্ষ নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।  

শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিগত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে ভয়ঙ্কর জুলুমের শিকার হয়। জুলুম করে আমাদের শীর্ষস্থানীয় ১১ জন নেতাকে সাজানো পাতানো আদালত, মিথ্যার সাক্ষীর মাধ্যমে কার্যত জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আমাদের রিভিউ আবেদন শুনানির পর রায় আজকে ঘোষণা করেছেন। এই রায়ে আমাদের মজলুম নেতা ও ভাই আজহারুল ইসলামের ওপর আনা সব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

জামায়াত আমির বলেন, জাতির এই সংকট মুহূর্তে আমাদের মাথার তাজ নেতৃবৃন্দ যদি বেঁচে থাকতেন তারা তাদের প্রজ্ঞা দূরদর্শিতা অভিজ্ঞতা দিয়ে এই জাতিকে পথ দেখাতে পারতেন। ক্যাঙারু কোর্ট এভাবে এক এক করে যাদের বিদায় দিয়েছে, দুনিয়ার কেউ আর তাদের আমাদের কাছে এভাবে ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তারা বেঁচে থাকলে এই জাতিকে সততা দক্ষতার সঙ্গে সেবা দিতেন এবং রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসত।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলাগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে সীমাহীন জাল জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এসকে সিনহা তার বইয়ে অপরাধ শিকার করে নিয়ে তা লিখেছেন। এসব নেতাদের ঠান্ডা মাথায় কীভাবে খুন করতে হবে তা বিচার বিভাগ ও সরকার ঠিক করেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কোনো সুযোগ রাখা হয় নাই।

শফিকুর রহমান বলেন, যাকে খুন করা হয়েছে তিনি তো আল্লাহর দরবারেই চলে গেছেন। কিন্তু তাদের পরিবারের ওপর সীমাহীন অত্যাচার করা হয়েছে। একেকটা পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। কোথায় কে গিয়েছে হিসাব পাওয়া কঠিন। আজকে যার রায় হলো তার একটা মেয়ে ছাড়া দেশে কেউ নেই। ছেলেটা ভয়ঙ্কর চাপে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

তিনি বলেন, গোটা বিচার প্রক্রিয়ার সময় দুইটা টর্চার সেল গড়ে তোলা হয়েছিল। সেফ হোম আর সেফ হাউস। সেফহোমে নির্ঘুম রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দিনের পর দিন নির্যাতন করা হতো। সেফহোমে নির্যাতনের পাশাপাশি মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার জন্য সেফ হাউসে রাখা হতো। যাত্রাবাড়ীর একটা ঠিকানায়। এসব কিছু মিডিয়ায় উঠে এসেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এসবের নিন্দা করেছে, স্বচ্ছ বিচারের দাবি জানিয়েছে। তবে তারা জানত, স্বচ্ছ বিচার হলে খুন করা যাবে না।

মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে ‘এভিডেন্স ল’ একেবারেই অনুসরণ করা হয়নি উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এই মামলার একটা মামলা ব্রিটেনে পরিচালিত হয়েছে। তাদের রায়ে বলেছে, বিচারের নামে এখানে জেনোসাইড টু দ্য জাস্টিস হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের কোর্টও তাদের রায়ের মাধ্যমে বলেছে ‘মিসক্যারিয়েজ অব জাস্টিস’, অন্যায় রায়।

সুপ্রিম কোর্ট এটিএম আজহারকে খালাস দেওয়ার রায় প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে, এটা ছিল ইচ্ছাকৃত গণহত্যা। দায়িত্বশীল নেতা ঘরে ঘরে প্রতিদিন জন্মায় না। এটা আল্লাহর দান। একটা দলকে নেতৃত্বশূন্য করা মানে একটা জাতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া।

তিনি বলেন, আমাদের বিপদ ঘাড়ে নিয়েও আমাদের পুরো সময় চেষ্টা করেছি দেশবাসীর বিপদে পাশে থাকার। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায়ের পরেও আমরা চেষ্টা করে সবার পাশে থাকার। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, আমরা আমাদের পুরো কর্তব্য পালন করতে পারিনি। আমাদের কোনো আচরণে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমাদের ক্ষমা করবেন। দল হিসেবেও আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। যারাই আমাদের আচরণে কষ্ট পেয়েছেন, কোনো শর্ত নেই, বিনা শর্তে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।

জামায়াত আমির আরও বলেন, জাতির অনেকগুলো বার্নিং ইস্যু এখনো সুরাহা হয়নি। জনগণের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা যেন ভূমিকা রাখতে পারি। মহান আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায় প্রিয় দেশবাসীর সমর্থন সহযোগিতায় যদি দেশের সেবা করার দায়িত্ব আমাদের ওপরে আসে তবে আমরা প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান ঘটাব, বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটাব।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে ঈদ পুণর্মিলনী

সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে ঈদ পুণর্মিলনী

কাপাসিয়ায় জামায়াতের উদ্যোগে পাঁচ শতাধিক অসহায়দের মাঝে গোস্ত বিতরণ

কাপাসিয়ায় জামায়াতের উদ্যোগে পাঁচ শতাধিক অসহায়দের মাঝে গোস্ত বিতরণ

যেনতেন নির্বাচন করে আর কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেবে না: রফিকুল ইসলাম খান

যেনতেন নির্বাচন করে আর কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেবে না: রফিকুল ইসলাম খান

নির্বাচনী মাঠ সমতল থাকলে নির্বাচনে প্রস্তুত জামায়াত: শফিকুর রহমান

নির্বাচনী মাঠ সমতল থাকলে নির্বাচনে প্রস্তুত জামায়াত: শফিকুর রহমান

ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিলেও ফ্যাসিজম রয়ে গেছে: জামায়াত আমির

ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিলেও ফ্যাসিজম রয়ে গেছে: জামায়াত আমির

 ময়মনসিংহে আর্চ স্টিল ব্রিজ প্রকল্পে নকশা পরিবর্তন ও দুর্নীতির অভিযোগ

ময়মনসিংহে আর্চ স্টিল ব্রিজ প্রকল্পে নকশা পরিবর্তন ও দুর্নীতির অভিযোগ

 ২,৯০০ পদে জনবল নিয়োগ দিচ্ছে টিএমএসএস

২,৯০০ পদে জনবল নিয়োগ দিচ্ছে টিএমএসএস

 ভালুকায় বাবাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ, ছেলেকে ‘চাঁদাবাজ’ বানানোর অভিযোগ

ভালুকায় বাবাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ, ছেলেকে ‘চাঁদাবাজ’ বানানোর অভিযোগ

 রাজাপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২, শোকের ছায়া পাথরঘাটায়

রাজাপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২, শোকের ছায়া পাথরঘাটায়

 ক্লাব বিশ্বকাপে ফের মেসি ম্যাজিকের অপেক্ষা, রোববারই মাঠে নামছে ইন্টার মায়ামি

ক্লাব বিশ্বকাপে ফের মেসি ম্যাজিকের অপেক্ষা, রোববারই মাঠে নামছে ইন্টার মায়ামি

 বিতর্কিত স্ট্যাটাসের জেরে বাতিল শিরিন শিলার বিটিভির অনুষ্ঠান

বিতর্কিত স্ট্যাটাসের জেরে বাতিল শিরিন শিলার বিটিভির অনুষ্ঠান

 পাইরেসির কবলে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’, অনলাইনেই দেখা যাচ্ছে সিনেমা

পাইরেসির কবলে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’, অনলাইনেই দেখা যাচ্ছে সিনেমা

 জামালপুরে ডিবি পুলিশের অভিযানে নগদ অর্থ ও জুয়ার সরঞ্জামসহ ৫ জন আটক

জামালপুরে ডিবি পুলিশের অভিযানে নগদ অর্থ ও জুয়ার সরঞ্জামসহ ৫ জন আটক

 সুনামগঞ্জে চুরির সময় দায়ের কোপে যুবকের মৃত্যু, আটক ১

সুনামগঞ্জে চুরির সময় দায়ের কোপে যুবকের মৃত্যু, আটক ১

 মানিকগঞ্জে এনসিপির জেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

মানিকগঞ্জে এনসিপির জেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

 কোচিংয়ে যাওয়ার পথে নিখোঁজ, ২ দিন পর জঙ্গলে মিলল লাশ

কোচিংয়ে যাওয়ার পথে নিখোঁজ, ২ দিন পর জঙ্গলে মিলল লাশ

 একসঙ্গে ছয়টি বিসিএস পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করল পিএসসি

একসঙ্গে ছয়টি বিসিএস পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করল পিএসসি

 আটকে পড়া ইরানি হজযাত্রীদের সহায়তায় সৌদি বাদশাহর নির্দেশ

আটকে পড়া ইরানি হজযাত্রীদের সহায়তায় সৌদি বাদশাহর নির্দেশ

 বিশ্বব্যাংকের ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা অনুমোদন

বিশ্বব্যাংকের ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা অনুমোদন

 ইরানি হামলায় ধ্বংস ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর

ইরানি হামলায় ধ্বংস ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর

 সোমবার থেকে টানা তিন দিন  ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

সোমবার থেকে টানা তিন দিন ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

 বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

 ইরানের আসাদাবাদে ড্রোন হামলা, পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ নিহত ২

ইরানের আসাদাবাদে ড্রোন হামলা, পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ নিহত ২

 আবারও  বাড়ল স্বর্ণের দাম

আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

সংশ্লিষ্ট

লন্ডনে প্রকাশ্যে দেখা গেল সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে

লন্ডনে প্রকাশ্যে দেখা গেল সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জামায়াতের নিন্দা ও শোক

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জামায়াতের নিন্দা ও শোক

প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে হাসনাতের পোস্ট

প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে হাসনাতের পোস্ট

নির্বাচনের আগে ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন ও বিচারের রোডম্যাপ চায় এনসিপি

নির্বাচনের আগে ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন ও বিচারের রোডম্যাপ চায় এনসিপি