× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ

নিখিল মানখিন

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫ ০৬:১৯ পিএম

চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ

চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ

দুটি কিডনি বিকল হওয়া মো. আনোয়ার হোসেন নামে এক গণমাধ্যমকর্মী চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়েছেন। কিডনি প্রতিস্থাপনে লাগবে ২০ লাখ টাকা, অল্প বেতনে চাকরি করা আনোয়ার হোসেনের পক্ষে এই চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে শারীরিক সুস্থতার জন্য ডায়ালাইসিস, রক্তের ইনজেকশন এবং আনুষঙ্গিক ওষুধ মিলিয়ে প্রতি মাসে তার খরচ হয় ৪৫ হাজার টাকা। এই ব্যয় বহন করতে গিয়ে নিজের সঞ্চিত সামান্য অর্থের পাশাপাশি সহায়-সম্পদ বিক্রি-বন্ধক দিতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু তাতেও তেমন সাড়া মিলছে না। এ কারণে তার চিকিৎসা চলছে থেমে থেমে।

আনোয়ারের মতো দেশের অসংখ্য কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগী অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না। সরকারি হাসপাতালে অপ্রতুলতার কারণে অধিকাংশ রোগী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু দরিদ্র মানুষের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের ব্যয়বহুল চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। কিডনি রোগে আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ চিকিৎসা নিতে পারছেন। বাকি ৯০ শতাংশ মানুষ চিকিৎসার বাইরে থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।

কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন,  কিডনি রোগীদের সামনে দু’টি পথই খোলা থাকে- ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন। কিন্তু চিকিৎসার এই দু’টি পদ্ধতিই দেশে অপ্রতুল ও ব্যয়বহুল। আবার চিকিৎসার ৮০ শতাংশই রাজধানীকেন্দ্রিক।  দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ। তাদের মধ্যে প্রতি বছর ৪০ হাজার রোগীর ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। গত বছরের শুরুতেই এই ডায়ালাইসিস সেবার মূল্য বাড়ানো হয়েছে। সরকারিতে ৫ শতাংশ ও বেসরকারিতে হাসপাতাল ভেদে প্রতি সেশনে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়। এ চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় অর্থ সংকটে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেন বেশির ভাগ রোগী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজন চিকিৎসা না পেয়ে রোগীদের ৯০ শতাংশ মারা যায়। মূলত একদিকে ব্যয়বহুল চিকিৎসা অন্যদিকে চিকিৎসা সুবিধা অপ্রতুল হওয়ায় রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলে দেশে ১৬০টি ডায়ালাইসিস সেন্টার রয়েছে। সব মিলিয়ে ২ হাজার ৫০০টি ডায়ালাইসিস মেশিনে দৈনিক ১০ হাজার রোগীর সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর বেশির ভাগ ঢাকায়। রাজধানীর বাইরে ডায়ালাইসিসের সুযোগ তেমন নেই। এ ছাড়া সরঞ্জাম আমদানি এবং কিছু ওষুধের খরচ বেশ উচ্চ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে খরচ হয় ২ হাজার ৮০০ টাকা। আর ডায়ালাইজার পুনর্ব্যবহার করলে খরচ হয় ১ হাজার ৭০০ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালে এই খরচ ৫ হাজার টাকা বা তার বেশি। তবে সরকারি হাসপাতালে ২০ হাজার টাকায় ছয় মাসে ৪৮টি ডায়ালাইসিস হয়। প্রতিটি ডায়ালাইসিসের জন্য ৪০০ টাকা নেওয়া হয়, যা সরকারের রাজস্ব খাতে চলে যায়। আর বাকি টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিডিউল পাওয়া একজন রোগীর কাছ থেকে প্রতিবার ডায়ালাইসিসের জন্য বর্তমানে নেওয়া হয় ৫৬৩ টাকা। ২০২৩ সালে খরচ ছিল ৫৩৫ টাকা আর ২০২২ সালে ৫১০ টাকা। দুই বছরের ব্যবধানে প্রতি ডায়ালাইসিসে খরচ বেড়েছে ৫৩ টাকা।

অন্যদিকে শিডিউল ছাড়া প্রতিবার ডায়ালাইসিস করাতে খরচ হয় ৩ হাজার ৮০ টাকা। এটা গত বছর ছিল ২ হাজার ৯৩৫ টাকা এবং তার আগের বছর ছিল ২ হাজার ৭৮৫ টাকা। দুই বছর আগে বিশেষায়িত হাসপাতালটিতে প্রতি মাসে ৮টি ডায়ালাইসিসের জন্য একজন রোগীর খরচ হতো ২২ হাজার ২৮০ টাকা। বর্তমানে  দিতে হয় ২৪ হাজার ৬৪০ টাকা। এই হাসপাতালের মতোই খরচ বেড়েছে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল, ল্যাবএইড ও স্কয়ার হাসপাতালে। এসব হাসপাতালে প্রতিবার ডায়ালাইসিসের খরচ এক হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ ।

একাধিক কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করাতে যাতায়াত, খাবার, টেস্টের খরচ, ওষুধপত্রসহ ইনজেকশন কেনা মিলে এক দিনে খরচ হয় ২ থেকে ৫ হাজার টাকা। আর বেসরকারি হাসপাতালে প্রতি ডায়ালাইসিস করাতে খরচ হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কোনো কোনো রোগীর সপ্তাহে দু’বার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। কারও আবার তিনবার। এসব রোগীর খরচ আরও বেশি হয়।

গত শনিবার ল্যাব এইড হাসপাতালে ডায়ালাইসিস রুমের সামনে কথা হয় মায়ের চিকিৎসা করাতে আসা রুবেল হোসেনের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এক বছর ধরে সপ্তাহে দুইবার তার মায়ের ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে। প্রতিবার ডায়ালাইসিসের জন্য ৪ হাজার ৪০০ টাকা দিতে হয়। এছাড়া প্রতি মাসে ওষুধপত্র কেনা, আসা-যাওয়াসহ ৬০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়। শুরুর দিকে মাসে ৪০ হাজার টাকা লাগত। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। মায়ের চিকিৎসা করাতে পুরো পরিবার এখন নিঃস্ব হওয়ার পথে।’

ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছর হাসপাতালটিতে ডায়ালাইসিসের খরচ ছিল ৪ হাজার টাকা। চলতি বছর বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। স্কায়ার ও ইউনাইটেড  হাসপাতালেও ডায়ালাইসিস সেবার মূল্য বাড়ানো হয়েছে এক হাজার টাকা করে। বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে সবচেয়ে কম মূল্যে ডায়ালাইসিস দেয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে তিন ভাগে ডায়ালাইসিস দেওয়া হয়। সর্বনিম্ন ১ হাজার ৪০০, এর পরের ধাপে ২০০০ এবং সর্বোচ্চ মূল্য ২ হাজার ৪০০ টাকা।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে পরিচালক ডা. সৈয়দ আলফাসানি ভোরের আকাশকে বলেন, এ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার ২০১৭ সালে ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) চুক্তি করে। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রতি বছর ৫ শতাংশ করে ফি বাড়ানো হয়। এবারও ফি বাড়ানো হয়েছে। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই।
সরকারি মেশিন ৩৮৭, ঢাকায় ২৫১টি

স্বাস্থ্য অধিতদপ্তরের হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস এবং সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১১টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাত্র ৩৮৭টি ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে ২৫১টি মেশিন ঢাকার ছয় প্রতিষ্ঠানে এবং বাকি ১৩৬টি মেশিন ঢাকার বাইরে পাঁচটি মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে। এর বাইরে ঢাকায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) ও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে কিছু ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে ৪১টি ডায়ালাইসিস মেশিন বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ঢাকায় আটটি ও ঢাকার বাইরে ৩৩ মেশিন দিয়ে ডায়ালাইসিস করানো যাচ্ছে না।

ঢাকার ছয় সরকারি হাসপাতালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডায়ালাইসিস মেশিন পাঁচশ শয্যা বিশিষ্ট কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৬৬টি। এখানে দুটি মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৭টি মেশিন আছে। ৪টি মেশিন নষ্ট। কিডনি হাসপাতালে মেশিন ৫৮টি। সরকারি-বেসরকারি পার্টনারশিপের অধীনে ৫০টি ডায়ালাইসিস মেশিন চালু আছে। হাসপাতালের নিজস্ব মেশিন আছে আটটি। এগুলো দিয়ে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি রোগীদের ডায়ালাইসিস করা হয়।

এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০টি ডায়ালাইসিস মেশিন আছে। এর মধ্যে ২টি নষ্ট। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৪০টি ডায়ালাইসিস মেশিন চালু আছে। এর মধ্যে ৩২টি চালু আছে। 
ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি মেশিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৮টি।

এর মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্যানডোরের আছে ৩১টি। সেখানে দৈনিক ৯০ জনকে ডায়ালাইসিস করা হয়। বাকি ১৭টি মেশিন হাসপাতালের নিজস্ব। এরপর সর্বোচ্চ মেশিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০টি। দুই শিফটে দৈনিক ৪০টি ডায়ালাইসিস হয়। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি মেশিন বিকল দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ৪১টি কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি সচল ও নষ্ট ১৪টি। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জনের ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩৯টি ডায়ালাইসিস মেশিনের মধ্যে সচল রয়েছে ২৬টি ও নষ্ট ১৩টি। অচল মেশিনের মধ্যে ৪টি মেরামতযোগ্য। এ ছাড়া ডায়ালাইসিসের জন্য প্রয়োজনীয় তিনটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সচল রয়েছে। তবে একমাত্র রিপ্রোসেসর মেশিনটিও অচল।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১টি ডায়ালাইসিস মেশিনের মধ্যে চালু আছে ১৫টি। নষ্ট আছে ছয়টি। এসব মেশিন দেড় থেকে দুবছর ধরে নষ্ট। দেশের কিডনি বিকল রোগীদের মাত্র ১০ শতাংশ কিডনি ডায়ালাইসিস করাতে পারছেন বলে জানিয়েছে কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) ও বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন।

ক্যাম্পস প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ ভোরের আকাশকে বলেন, দেশে কিডনি প্রতিস্থাপন সংখ্যা এখনো অনেক কম। কারণ কিডনিদাতা পাওয়া যায় না। পৃথিবীজুড়েই কিডনিদাতার সংকট। যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কিছু দেশ যত কিডনি প্রতিস্থাপন হয়, তার ৬০ শতাংশ নেওয়া হয় ব্রেন ডেথ রোগীদের থেকে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো সেটা হচ্ছে না। এ পর্যন্ত সারাহ নামের মাত্র একটা মেয়ে কিডনি দান করল। সেজন্য কিডনি বিকল রোগীদের বাঁচাতে নির্ভর করতে হয় ডায়ালাইসিসের ওপর। তবে ডায়ালাইসিসের খরচ এত বেশি যে কিডনি বিকল রোগীর ৯০ শতাংশই এই ব্যয় বহন করতে পারে না। মাত্র ১০ শতাংশ রোগী বহন করতে পারে। আবার যে ১০ শতাংশ বহন করতে পারে, এই ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে তাদের ৯০ শতাংশের পরিবার দেউলিয়া হয়ে যায়।

কিডনি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হারুন-অর-রশিদ ভোরের আকাশকে বলেন, ‘দেশে কিডনি ডায়ালাইসিসের ২৫০ সেন্টার রয়েছে। এর ৮০ শতাংশ মেশিনই ঢাকায়। সরকারি পর্যায়ে থানা পর্যায়ে ডায়ালাইসিস বাড়ানো দরকার। ডায়ালাইসিসকে সর্বজনীন চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার অধীনে এনে সেবা দিতে হবে। বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডায়ালাইসিস সেন্টারকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। কন্টিনিউয়াস অ্যাম্বুলেটরি পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস বা সিএপিডি ব্যবস্থা চালু করতে হবে। অর্থাৎ যার ডায়ালাইসিস লাগে, তিনি বাড়িতে বসে নিজের ডায়ালাইসিস নিজে করতে পারবেন। শুধু ডায়ালাইসিসের ফ্লুইড নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে ৫০ শতাংশ কিডনি বিকল রোগী তাদের রোগপ্রতিরোধ করতে পারেন বলেও জানান এই বিশেষজ্ঞ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর ভোরের আকাশকে বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস মূল্য নিয়ে দ্রুত আলোচনা করা হবে। এ ছাড়া সরকারিভাবে ডায়ালাইসিস সেবার প্রসারে সরকার ৪৪টি জেলায় ১০ শয্যার ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনে কাজ করছে।  দ্রুতই এক হাজার ডায়ালাইসিস মেশিন ক্রয় করা হবে। ওই মেশিন সরকারি হাসপাতালে স্থাপন করা হলে রোগীদের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করেন তিনি।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
যে ৭ অভ্যাস নীরবে নষ্ট করছে আপনার কিডনি

যে ৭ অভ্যাস নীরবে নষ্ট করছে আপনার কিডনি

ডেঙ্গু আক্রান্তদের সতর্কবার্তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

ডেঙ্গু আক্রান্তদের সতর্কবার্তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২

ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৬৩

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৬৩

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৩৫

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৩৫

 চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ

 ১৫ শিক্ষার্থীর মাদ্রাসায় ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী! বছরে ব্যয় অর্ধকোটি টাকা

১৫ শিক্ষার্থীর মাদ্রাসায় ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী! বছরে ব্যয় অর্ধকোটি টাকা

 আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে দোয়া করলেন ইনকিলাবের হাদি

আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে দোয়া করলেন ইনকিলাবের হাদি

 কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

 গাজার পথে ফ্লোটিলার নতুন ত্রাণবাহী নৌবহর

গাজার পথে ফ্লোটিলার নতুন ত্রাণবাহী নৌবহর

 পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

 ঢাকার দুই সিটি : মশায় নাগরিক দুর্দশা চরমে

ঢাকার দুই সিটি : মশায় নাগরিক দুর্দশা চরমে

 বাড়ছে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, রংপুর-গাইবান্ধায় অনুসন্ধান দল

বাড়ছে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, রংপুর-গাইবান্ধায় অনুসন্ধান দল

 টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

 যাদের অর্থ-অস্ত্রে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল!

যাদের অর্থ-অস্ত্রে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল!

 ঢাকায় বাড়বে গরমের অনুভূতি, হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও

ঢাকায় বাড়বে গরমের অনুভূতি, হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও

 ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তই কাল হলে বাংলাদেশের

ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তই কাল হলে বাংলাদেশের

 শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাকে আজ ফের জেরা করবেন স্টেট ডিফেন্স

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাকে আজ ফের জেরা করবেন স্টেট ডিফেন্স

 মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য নতুন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা বিসিবির

মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য নতুন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা বিসিবির

সংশ্লিষ্ট

কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

ঢাকার দুই সিটি : মশায় নাগরিক দুর্দশা চরমে

ঢাকার দুই সিটি : মশায় নাগরিক দুর্দশা চরমে

ঢাকায় বাড়বে গরমের অনুভূতি, হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও

ঢাকায় বাড়বে গরমের অনুভূতি, হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও

বদলি ও পদায়নে নতুন নীতিমালা কার্যকর করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বদলি ও পদায়নে নতুন নীতিমালা কার্যকর করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়