ছবি: সংগৃহীত
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ভেতর আবারও জমায়েত হয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।
বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ শেষে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। পরে কর্মচারীরা বলেন, তারা এখন কঠোর কর্মসূচি যাবেন।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, কর্মচারীরা মিছিল করে সচিবালয়ের ছয় নম্বর ভবনের নিচে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন। সেখানে তারা সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে একটি প্রতিনিধি দল উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের বরাবর স্মারকলিপি দেন।
এর আগেও তারা অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে পবিত্র ঈদুল আজহার আগে থেকে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তারা বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন।
আজ সকাল সোয়া ১১টার পর তারা সচিবালয়ের বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি সচিবালয়ের বিভিন্ন অলিগলি প্রদক্ষিণ করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ওয়ারী মিছিল নিয়ে বাদামতলায় জড়ো হওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিতি আগের দিনের মতোই কম ছিল। কর্মচারীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মানি না মানব না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘মানি না মানব না, অবৈধ কালো আইন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ শেষে ৬ নম্বর ভবনের লিফটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটা মানুষ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল চায়। ফলে কোনো সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন আমরা মানব না। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ডাক পাইনি। যদিও পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ দিতে।
নূরুল ইসলাম বলেন, কর্মচারীদের দাবি সম্বলিত পোস্টার যারা ছিঁড়েছে, সিসিটিভির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আমরা তাদের পরিচয় প্রকাশ করব। যার যার জায়গা থেকে পোস্টার ব্যানার লিফলেট তৈরি করে পুরো সচিবালয়ে সাঁটিয়ে দিতে হবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করে নূরুল বলেন, আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামী রোববার আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নেই বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে এই দাবি করেন তিনি।শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ফ্রিডম নাই এটা ভুল। আমি মনে করি, দেশে সাংবাদিকতায় এত ফ্রিডম, যা উন্নত বিশ্বেও নাই। তিনি বলেন, গত ১০ মাসে বর্তমান সরকার সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমকে কোনো চাপ প্রয়োগ করেনি, কোনো বাধা দেয়নি; যেমনটা আওয়ামী লীগ আমলে ছিল।এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, গণমাধ্যমে ১৫ বছর ধরে অরাজকতা চলেছে। ফলে, অবৈধ নির্বাচনগুলো বৈধতা পেয়েছে। ফ্যাসিজম সেই সুযোগ পেয়েছে। অনিয়ম ধরার মূল হাতিয়ার গণমাধ্যম। এটা ঠিক থাকলে জালিয়াতির নির্বাচনগুলো ঠেকানো যেত।জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, সংবাদ মাধ্যমের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথক হতে হবে, নন প্রফিট হতে হবে। নয়তো সেখান থেকে স্বাধীন গণমাধ্যম চর্চা সম্ভব না।ভোরের আকাশ/জাআ
চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনা যেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়, তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।আগামী বছরের হজের জন্য ইতোমধ্যে রোডম্যাপ প্রকাশ করায় সন্তোষ প্রকাশ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এ বছর ছোটখাটো যেসব ত্রুটি ধরা পড়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে সেগুলো যেন না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ইতোমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে এবং ১০ জুলাই বাংলাদেশিদের জন্য হজ কোটা ঘোষণা করা হবে।বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ বছর হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। সবাই প্রশংসা করেছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পরিশ্রম করেছে, এ জন্য সবাইকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা।নিবন্ধিত সব হজযাত্রীর হজ পালন করতে পারার যে দৃষ্টান্ত এ বছর সৃষ্টি হয়েছে, তা যেন এই মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী নীতিতে পরিণত হয় সে বিষয়ে আন্তরিক হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।ড. ইউনূস বলেন, হজযাত্রী ও হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সবাই যেন নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন সেজন্য প্রশিক্ষণ খুবই জরুরি।চলতি বছরের হজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক জানান, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং সৌদি সরকারের নির্দেশনার আলোকে হজ ২০২৬-এর জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সফল ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।তিনি জানান, হজযাত্রীদের সৌদি আরবগামী মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট গ্রহণের মাধ্যমে নিবন্ধন নিশ্চিত করা হবে। বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন অথবা ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতালের পরিচালক প্রদত্ত সার্টিফিকেটই গ্রহণযোগ্য হবে।এ ছাড়া সৌদি টাইমলাইন ও রোডম্যাপ অনুযায়ী হজ কার্যক্রমের ক্যালেন্ডার ও চেকলিস্ট তৈরি করা হয়েছে এবং হজযাত্রী কোটার পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।২০২৬ সালের হজ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে জানিয়ে আফতাব হোসেন বলেন, আগামী ১০ জুলাই ২০২৬ সালের হজ পালনের বাংলাদেশের কোটা ঘোষণা করা হবে এবং আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে হজযাত্রীদের চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বর বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন এবং ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি ভেন্ডর ও কোয়াটেশন অনুমোদনের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এরপর ২০ মার্চ থেকে হজযাত্রীদের ভিসা প্রদান শুরু হবে এবং ১৮ এপ্রিল থেকে ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু হবে। সবশেষে ২৯ মে তারিখে পবিত্র হজের টেস্ট (সেবা যাচাইকরণ) সম্পন্ন হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনের কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, মাদকের অবৈধ পাচার ও অপব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা ও দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে। মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনের কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কোনো দেশের উন্নতির প্রধান নিয়ামক হলো কর্মক্ষম বিপুল যুবশক্তি। আধুনিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত ও দক্ষ যুবশক্তিই পারে দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে। ভবিষ্যতে উন্নত এবং সফল রাষ্ট্রের কাতারে উপনীত হতে হলে আমাদের এই তরুণ সমাজকে মাদক থেকে অবশ্যই মুক্ত রাখতে হবে।দেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নানাভাবে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশে মাদক চোরাচালানের একটি ভয়াবহ বিষয় হলো নারী, শিশু এবং কিশোরদের এ গর্হিত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করে নিয়মিতভাবে সভা, সেমিনার, বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজনসহ সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক তা বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।নতুন মাদকের কথা উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন সিনথেটিক ও সেমি-সিনথেটিক ড্রাগসের আবির্ভাবের ফলে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারজনিত সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে। নতুন নতুন এসব মাদক নিয়ে আমাদেরকে নতুনভাবে কর্মকৌশল তৈরি করতে হচ্ছে। এসব মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এগুলোকে আইনের তফসিলভুক্ত করার পাশাপাশি কৌশলগত নজরদারি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন ধরনের মাদক সম্পর্কে দেশের সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থা সজাগ রয়েছে এবং এগুলোর বিস্তার রোধে উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রায় ১৮ কোটি জনসংখ্যার দেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে বর্তমানে নিয়োজিত রয়েছে ২ হাজার ৯৪৩ জন। এর মধ্যে এনফোর্সমেন্টে নিয়োজিত রয়েছেন ১ হাজার ৬২২ জন। ৬৪টি জেলা কার্যালয়, ১টি বিশেষ জোন, ৮টি বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয় এবং ৮টি বিভাগীয় কার্যালয়ের সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ইদানীং সামাজিক প্রতিরোধ কম দেখছি। সামাজিক প্রতিরোধ বাড়াতে সবাইকে অনুরোধ করছি।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তিনটি স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কাজ করছে। প্রথমটা সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে বিশাল সীমান্ত রয়েছে। আমাদের দেশে মাদক উৎপাদন হয় না। বাইরের দেশ থেকে অন্য লোক এনে আমাদেরকে খাওয়াচ্ছে। আমরা পয়সা দিয়ে কিনে নিজেদের মৃত্যু ডেকে আনছি।তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৩২টি জেলা সীমান্ত এলাকা। এই জায়গাগুলোতে জনসাধারণের সম্পৃক্তা লাগবে। এই কার্যক্রমের মাত্রা বাড়াতে হবে।সরকারিভাবে প্র্যতেক বিভাগীয় পর্যায়ে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট মাদক নিরাময় কেন্দ্রের হাসপাতাল করা হবে বলেও উল্লেখ করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ।ভোরের আকাশ/আজাসা
দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ শীর্ষক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশ দিয়েছেন।বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, ইন্টারন্যাশনাল রিনিউবেল এনার্জি এজেন্সির (আইআরইএনএ) ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌরবিদ্যুৎ প্রসার ও ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ভারতে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৭.১৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৭ শতাংশ উৎপাদন হলেও বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার মাত্র ৫.৬ শতাংশ সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে থাকে।নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ ও ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইতোমধ্যেই ৫ হাজার ২৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার স্থলভিত্তিক ৫৫টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের টেন্ডার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়ন হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে সব সরকারি ভবন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও সব সরকারি হাসপাতালের ছাদে রুফটপ সোলার সিস্টেম স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারি ভবনে সোলার প্যানেল বসানোর কাজটি বেসরকারি উদ্যোগে করা যায় কি না সে ব্যাপারে বিবেচনা করুন। যারা বসাবে তারা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই এটার রক্ষণাবেক্ষণ করবে, কার্যকরভাবে এটা পরিচালনা করবে। সরকারের পক্ষ থেকে শুধু ছাদটা দেওয়া হবে; বাকি কাজ তারাই করবে।তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যেসব প্রতিষ্ঠান রুফটপ সোলার করেছে তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। তারা কী ধরনের সমস্যায় পড়েছে সেগুলো জানতে হবে। সেই সমস্যাগুলো সমাধানের দিকে যেতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় সরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য কোনো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে না এবং সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত ছাদের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ভাড়া পাবে।বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনসহ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং মাধ্যমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।ভোরের আকাশ/আজাসা