স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৫ ০৫:৪৩ এএম
শরীরে কোলেস্টেরল বেড়েছে কী না? লক্ষণ দেখেই ধরতে পারেন ঝুঁকি
উচ্চ কোলেস্টেরল শরীরের জন্য এক নীরব ঘাতক। এটি ধীরে ধীরে হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ নানা জটিল অসুস্থতার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০০ এমজি/ডেসিলিটারের বেশি হলে তা উচ্চ কোলেস্টেরল হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও কোলেস্টেরল নির্ণয়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো রক্ত পরীক্ষা, তবে কিছু বাহ্যিক লক্ষণ থেকেও বিষয়টি আন্দাজ করা যায়।
সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়া–তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন কিছু লক্ষণের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো দেখা দিলে দ্রুত সচেতন হওয়া জরুরি।
চলুন জেনে নিই, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে:
১. চোখের পাতার চারপাশে হলুদাভ দাগ বা ফোলাভাব
চোখের আশপাশে ছোট ছোট হলদেটে দাগ বা ফোলাভাব দেখা গেলে তা হতে পারে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের লক্ষণ। এগুলো সাধারণত ব্যথাহীন হলেও শরীরে চর্বি জমে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
২. কর্নিয়ার চারপাশে ধূসর বা সাদা রিং
চোখের কর্নিয়ার চারদিকে সাদা বা ধূসর বৃত্ত দেখা গেলে সেটিকে বলে কর্নিয়াল আর্কাস। যদিও এটি বয়সজনিত হতে পারে, তবে ৪৫ বছরের কম বয়সেই এমন লক্ষণ দেখা গেলে তা উচ্চ কোলেস্টেরলের ইঙ্গিত হতে পারে।
৩. ত্বকে হলুদাভ ফুঁসকুড়ি বা দানা
চোখ, গাল, কনুই কিংবা হাঁটুর আশপাশে যদি ছোট ছোট হলুদ ফুঁসকুড়ির মতো দাগ দেখা যায়, তবে তা হতে পারে জ্যান্থোমা—যা অতিরিক্ত লিপিড বা চর্বি জমে যাওয়ার কারণে হয়।
৪. চোখের চারপাশে হলুদ ছোপ বা ত্বকের রঙ পরিবর্তন
মুখে, বিশেষ করে চোখের আশপাশে যদি হলুদ ছোপ বা দাগ দেখা দেয়, তবে সেটিও হতে পারে চর্বিযুক্ত পদার্থ জমে যাওয়ার ফল। এই অবস্থাকে বলা হয় জ্যান্থোডার্মা।
৫. ত্বকে নীলচে বা বেগুনি রঙের জালের মতো দাগ
রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমে গিয়ে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হলে ত্বকে নীল বা বেগুনি রঙের জালাকৃতির দাগ দেখা দিতে পারে। একে কোলেস্টেরল এমবোলিজম বলা হয় এবং এটি চিকিৎসার জন্য জরুরি সংকেত।
৬. হঠাৎ করে লাল বা হলুদ গুটির মতো ফুসকুড়ি
মুখ, বাহু বা নিতম্বে হঠাৎ করে ছোট ছোট গুচ্ছাকৃতির গুটি দেখা গেলে সেটি হতে পারে বিস্ফোরিত জ্যান্থোমা—যা সাধারণত অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইডের কারণে হয়। এটিও অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
করণীয়
এই ধরনের কোনো উপসর্গ শরীরে দেখা দিলে দেরি না করে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ভোরের আকাশ//হ.র