× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

উলবাকিয়া মশায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আশা দেখছেন গবেষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫ ১০:০৯ পিএম

উলবাকিয়া মশায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আশা দেখছেন গবেষকরা

উলবাকিয়া মশায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আশা দেখছেন গবেষকরা

আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল এক ধরনের উলবাকিয়াসংক্রমিত এডিস ইজিপ্টি মশা সফলভাবে তৈরি করেছেন। ডেঙ্গু মোকাবিলায় একটি বড় বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি বাংলাদেশের জন্য নতুন আশার আলো জাগাচ্ছে। এটি ঢাকা শহরের স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। এটিকে ‘ভালো মশা’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।

বুধবার আইসিডিডিআর,বি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার কিউআইএমআর বার্গহোফার মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, আইসিডিডিআর,বি ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এই গবেষণা চালিয়েছেন।

গবেষকদের মতে, উলবাকিয়া ব্যবহারের কারণ হলো, এটি এডিস মশায় ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করে, কিন্তু মানুষ বা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। উলবাকিয়া একটি প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া; যা প্রজাপতি, ফলের মাছি এবং কিছু মশার দেহে স্বাভাবিকভাবেই থাকে, কিন্তু এডিস মশায় থাকে না। এই ব্যাকটেরিয়া মানুষ বা প্রাণীকে সংক্রমিত করতে পারে না এবং কামড় বা সংস্পর্শের মাধ্যমেও এটি ছড়ায় না।

গবেষকরা জানান, এডিস মশায় উলবাকিয়া প্রবেশ করিয়ে দুটি কৌশলে মশাবাহিত ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রথমটি হলো দমন কৌশল, যেখানে শুধু পুরুষ উলবাকিয়া মশা বা ভালো মশা পরিবেশে ছাড়া হয়। এই পুরুষরা স্ত্রী মশার সঙ্গে মিলিত হয়, স্ত্রী মশার ডিম ফোটে না; ফলে মশার সংখ্যা কমে যায়।

দ্বিতীয়টি হলো প্রতিস্থাপন কৌশল, যেখানে পুরুষ ও স্ত্রী উভয় ‘ভালো মশা’ ছাড়া হয় এবং উলবাকিয়াআক্রান্ত স্ত্রী মশারা প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই ব্যাকটেরিয়া বয়ে বেড়ায় ও ছড়িয়ে দেয়। তারা উলবাকিয়া আক্রান্ত বা আক্রান্ত নয় এমন পুরুষদের সঙ্গে মিলিত হলেও তাদের বংশধর উলবাকিয়া বহন করে এবং এভাবে শেষ পর্যন্ত বন্য মশাদের প্রতিস্থাপন করে। এই দুটি কৌশলই বিভিন্ন দেশে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার উত্তর কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিস্থাপন কৌশল ব্যবহার করে গত এক দশকে ডেঙ্গু রোগ ৯৬ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রেও মশা কমানোর পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সফলতা দেখা গেছে।

এই অগ্রগতি বাংলাদেশকে ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত বা আর্বোভাইরাল ভাইরাস সংক্রমণ রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে একটি নিরাপদ, জৈবিক পদ্ধতি ব্যবহারের নতুন দ্বার উন্মোচন করছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআর,বি।

মাঠপর্যায়ের সফল পরীক্ষার পরেই কেবল এটিকে ব্যাপকভাবে পরিবেশে ছেড়ে দেওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত,” বলেন আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ।

প্রসঙ্গত, এ বছর বুধবার পর্যন্ত ২৮৫৮ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। ২০২৪ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন। এটি বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এরআগে, ২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গুতে রেকর্ড ১ হাজার ৭০৫ জন প্রাণ হারান। আর ২০১৯ সালে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়।  

ভোরের আকাশ/এসআই

  • শেয়ার করুন-
 কসবা সীমান্তে ৬০ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল উদ্ধার

কসবা সীমান্তে ৬০ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল উদ্ধার

 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ যুবকের লাশ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ যুবকের লাশ উদ্ধার

 টানা চারদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

টানা চারদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

সংশ্লিষ্ট

টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বস্বাস্থ্যে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় ড. তাহমিদ আহমেদ

টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বস্বাস্থ্যে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় ড. তাহমিদ আহমেদ

উলবাকিয়া মশায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আশা দেখছেন গবেষকরা

উলবাকিয়া মশায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আশা দেখছেন গবেষকরা

ছানি চিকিৎসায় কি অস্ত্রোপচার লাগেই

ছানি চিকিৎসায় কি অস্ত্রোপচার লাগেই

আমটি ক্ষতিকর কেমিক্যাল মুক্ত তো!

আমটি ক্ষতিকর কেমিক্যাল মুক্ত তো!