ফাইল ছবি
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কথা-সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাহিত্যাঙ্গনে।
বাংলাদেশের বিক্রমপুরে ১৯৩৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্ম নেন প্রফুল্ল রায়। দেশভাগের পর ১৯৫০ সালে তিনি চলে যান ভারতে। কলকাতাই হয়ে ওঠে তার নতুন ঠিকানা। ভারতে চলে গেলেও দেশভাগের যন্ত্রণা তাকে ছাড়েনি। তারই লেখা কালজয়ী উপন্যাস ‘কেয়া পাতার নৌকো’ আজও প্রাসঙ্গিক।
বিক্রমপুর অঞ্চলের রাজদিয়া গ্রামের পটভূমিতে লেখা এই উপন্যাস। আর ওই রাজদিয়াতেই জন্ম নেন প্রফুল্ল রায়। তার লেখায় শহর ও গ্রামীণ উভয় অবস্থারই শক্তিশালী বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। তিনি উপন্যাস এবং ছোটগল্পসহ ১৫০টিরও বেশি বই লিখেছেন। তার প্রথম উপন্যাস ছিল পূর্ব পার্বতী, যা নাগাল্যান্ডে লেখা এবং ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
তিনি শরণার্থী জীবনের ওপর উপন্যাস লিখেছেন- কেয়া পাতার নৌকো (২০০৩), শতধারায় বয়ে যায় (২০০৬), উৎতল সময়ের ইতিকথা (২০১৪), নোনা জল মিঠে মাটি (বঙ্গ ১৩৬)। যদিও এটি কেয়া পাতার নৌকা, শতধারায় বয়ে যায়, উৎতল সময় ইতিকথা থেকে রূপ এবং নামে ভিন্নÑ এটি আসলে একটি ত্রয়ী।
প্রফুল্ল রায়ের গল্প ও উপন্যাস অবলম্বনে ৪৫টির মতো টেলিফিল্ম, টেলি-ধারাবাহিক, ফিচার-ফিল্ম নির্মিত হয়েছে। তার মধ্যে এখানে পিঞ্জর (১৯৭১), বাঘবন্দী খেলা (১৯৭৫), ‘মোহনার দিকে’ (১৯৮৪), ‘আদমি অউর অউরত’ (১৯৮৪), ‘একান্ত আপন’ (১৯৮৭), ‘চরাচর’(১৯৯৪), ‘টার্গেট’ (১৯৯৭), ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ (২০০৩), ‘ক্রান্তিকাল’ (২০০৫), কেয়া পাতার নৌকো... তালিকাটা লম্বা। জীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন এই সাহিত্যিক।
‘ক্রান্তিকাল’-এর জন্য ২০০৩ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার, ‘শরৎস্মৃতি’ তালিকাটা লম্বা। তার বিখ্যাত কাজের মধ্যে রয়েছে, ‘প্রতিধ্বনি’, ‘আগুনের কাছাকাছি’, ‘ভাতের গন্ধ’, ‘উত্তাল সময়ের ইতিকথা’, ‘রথযাত্রা’, ‘পিতৃভূমি’সহ অগুন্তি। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সাহিত্য জগৎ। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একজন তারকার পতন হলো বলা যায়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী শ্রুতি হাসানের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে ভক্তদের সতর্ক করেন তিনি।শ্রুতি জানান, তার এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে কেউ অনভিপ্রেত পোস্ট বা লিংক পাঠালে যেন সেটিতে কেউ সাড়া না দেন কিংবা কোনো আলোচনায় না জড়ান। ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, “আপনাদের সকলকে জানাচ্ছি, আমার টুইটার (এক্স) অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে যা কিছু পোস্ট হচ্ছে, তা আমার করা নয়। অনুগ্রহ করে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবেন না বা আলাপ-আলোচনায় জড়াবেন না।”হ্যাক হওয়ার আগে সর্বশেষ ২৩ জুন শ্রুতি তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, “আমিই কি একমাত্র যে বিষণ্ণ ও বৃষ্টিবহুল আবহাওয়ায় অনেক বেশি উৎফুল্ল ও পজিটিভ থাকি?” এরপরই অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।সম্প্রতি শ্রুতি হাসান এ আর রহমানের সুরে নির্মিত ‘ঠগ লাইফ’ ছবির অডিও লঞ্চ অনুষ্ঠানে চমকপ্রদ পারফরম্যান্সে মঞ্চ মাতান। অনুষ্ঠানটি চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শ্রুতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছবির পুরো কাস্ট ও সুরকার এ আর রহমান।শিগগিরই তিনি লোকেশ কানাগরাজ পরিচালিত বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘কুলি’-তে অভিনয় করতে যাচ্ছেন। এতে শ্রুতির সঙ্গে থাকছেন দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার দুই কিংবদন্তি—রজনীকান্ত ও নাগার্জুনা।ভোরের আকাশ//হ.র
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার এক মাসের বেশি সময় পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।জামিনের আদেশ আসে একদিন আগেই। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুবের আদালত শুনানি শেষে নোবেলের জামিন মঞ্জুর করেন।কারামুক্তির খবর পেয়ে নববিবাহিতা স্ত্রী প্রিয়া সকালেই কারাগারের সামনে উপস্থিত হন। মুক্তি পাওয়ার পর নোবেল ও প্রিয়াকে মোটরসাইকেলে কারা ফটকের আশপাশে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। দুজনেই ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের মুক্তি নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ‘নোবেলম্যান’-এ একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, “গর্জন ফিরে এসেছে, নীরবতা শেষ হয়েছে। নোবেল ভাই আবার মঞ্চে ফিরে এসেছেন ঝড় তুলতে। নোবেল ভাই আবার তোমার মনে ঝড় তুলতে এসেছে।”ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এ কে এম মাসুম বলেন, “জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নোবেলকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”উল্লেখ্য, গত ২০ মে রাজধানীর ইডেন কলেজের এক ছাত্রীর করা ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হন নোবেল। মামলায় অভিযোগ করা হয়, অভিযুক্ত সাত মাস ধরে সেই নারীকে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছেন।পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে কারাগারেই নোবেল ও মামলার বাদী নারীকে বিয়ে দেওয়া হয়। গত ২০ জুন, বৃহস্পতিবার দুপুরে কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।নতুন জীবনে পা রেখেই কারামুক্ত হলেন গায়ক নোবেল। তবে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি এখনো বাকি।ভোরের আকাশ//হ.র
কলকাতার প্রখ্যাত পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সাম্প্রতিক মন্তব্যে স্পষ্ট হলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে সংকট চলছে। একসময় ১৮টি হিট ছবি নির্মাণ করে টলিউডে সুপরিচিত ছিলেন রাজীব। এছাড়া অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে বাণিজ্যিক সফলতা পেয়েছিলেন। ব্যক্তিজীবনেও তাদের বিয়ে হয়েছিল, যদিও তা টেকেনি।রাজীব জানান, করোনার পর বাংলা ছবির বাজার ধ্বংসপ্রায়। অনেক তারকা এখন আর বাণিজ্যিক ছবির বদলে আর্ট ফিল্ম বা ভিন্ন ধারার কাজে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। “দেব যখন আর্ট ফিল্মে চলে গেলেন, তখন বুঝতে পারলাম বাণিজ্যিক ছবি তৈরির সুযোগ সংকুচিত হয়েছে। এখন সেই ধরনের প্রযোজকও নেই,” বলেন তিনি।২০১৮ সালে রাজীব বাংলাদেশে পাড়ি দিয়ে ‘নাকাব’ ছবির মাধ্যমে শাকিব খানের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। ‘অপারেশন জ্যাকপট’ ও ‘চিতা’ মতো বড় প্রকল্পেও হাত দিয়েছিলেন। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে কাজগুলো থেমে গেছে।তিনি উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশে এখন সিনেমা ও নাটক হচ্ছে, তবে আগের তুলনায় অনেক কম। একমাত্র শাকিব খানই এখনও বাণিজ্য ধরে রেখেছেন। বাকিরা তার মতো সফল হতে পারছেন না।”ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ছবিতেও এখন ভিসা জটিলতার কারণে শিল্পীরা কলকাতায় আসতে পারছেন না, যা চলচ্চিত্র নির্মাণে সমস্যা সৃষ্টি করছে।তবুও রাজীব বিশ্বাস আশা ছাড়েননি। কলকাতায় দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন তিনি। “দেবের ‘খাদান’ হিট হওয়ায় আত্মবিশ্বাস ফিরেছে, আবার বাণিজ্যিক ছবি নির্মাণের সময় এসেছে,” বলেন এই পরিচালক।বাংলাদেশের সিনেমা জগতে শাকিব খানের একক প্রভাব ও বাকি শিল্পীদের সংকটপূর্ণ অবস্থার এই চিত্র আগামী দিনে কী রূপ নেবে, তা সময়ই বলবে।ভোরের আকাশ//হ.র
বলিউডের বড় বড় তারকাদের চেয়েও অর্থ উপার্জনে পিছিয়ে নেই ভারতীয় কৌতুকশিল্পী কপিল শর্মা। সিনেমার পর্দায় না থাকলেও টেলিভিশন এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তার জনপ্রিয়তা ও উপার্জন সমানতালে বাড়ছে।পাঞ্জাবের এক মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা কপিল শর্মা শুরু করেছিলেন মাত্র ৫০০ টাকা পারিশ্রমিকে। গায়ক হওয়ার স্বপ্নে মুম্বাই পাড়ি দিলেও পরবর্তীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন সফল কৌতুকশিল্পী ও সঞ্চালক হিসেবে।‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল’ ও ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ তার জনপ্রিয় কাজ। বিশেষ করে চলতি বছরের ২১ জুন থেকে শুরু হওয়া ‘দ্য কপিল শর্মা শো’র তৃতীয় সিজনে প্রতি এপিসোডের জন্য তিনি পাচ্ছেন ৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক। প্রতিটি সিজনে ১৩টি এপিসোড থাকায় শুধুমাত্র এই শো থেকে তার আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯৫ কোটি টাকা।কপিল শর্মা এখন ভারতের অন্যতম সফল বিনোদন ব্যক্তিত্ব, যিনি টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমসভোরের আকাশ//হ.র