মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৫ ০৫:১১ পিএম
মেহেরপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
মেহেরপুরে ইউনিয়ন কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে জেলা বিএনপির উভয় পক্ষের অন্ততঃ ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় সদস্য সচীবের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ মে) বেলা ১১ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সদর উপজেলার আমঝুপি বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল হাসান জানান, শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে আমঝুপি গ্রামের গন্ধরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আমঝুপি ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। সাড়ে ১১ টার দিকে আমিসহ বিএনপির নেতা কর্মীরা সম্মেলনে অংশ নিতে মেহেরপুর শহর থেকে রওনা হই। আমঝুপি বাজারের সড়ক দিয়ে গন্ধরাজপুরে যেতে চাইলে সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতাকর্মীরা গাড়িবহরে বাঁধা প্রদান করেন। পরে এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে মেহেরপুর সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি টিম ও পুলিশ আসেন ঘটনাস্থলে। পরে ওই গাড়িবহরটি আমঝুপি সামিউল টাওয়ারের সামনের গলি দিয়ে গন্ধরাজপুরে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সাইফুল ইসলাম পক্ষের নেতাকর্মী তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা হামলা চালিয়ে সদস্য সচীবের মাইক্রোবাসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল তাদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পাল্টা অভিযোগ করে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বেআইনিভাবে তারা আমঝুপি ইউনিয়নের সম্মেলন করছে। আমরা বাধা প্রদান করেছি। তবে সদস্য সচিব এডভোকেট কামরুল হাসানের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে হামলাকালীদের নিবৃত্ত করার সময় সাইফুল ইসলাম পক্ষের ৩ নেতা কর্মীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ এসময় তাঁদের ছাড়িয়ে নিতে সাইফুল ইসমাম পক্ষের নেতাকর্মীরা মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক আমঝুপি বাজারে অবরোধ করে। এতে বন্ধ হয়ে যায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই তিন নেতা-কর্মীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে তারা রাস্তা অবরোধ তুলে নেন।
মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেজবাহ উদ্দীন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের বিষয়ে এখনও কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
ভোরের আকাশ/এসআই