থানায় লুট হওয়া অস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৫৩ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
মুন্সীগঞ্জের চরকেওয়ার ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গাজীবাড়িতে শনিবার (৪ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সশস্ত্র একদল দুর্বৃত্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দেলোয়ার গাজির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলাকারীরা সম্প্রতি থানায় লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি ছোড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফজরের আগ মুহূর্তে শতাধিক লোকের একটি সশস্ত্র দল হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এ সময় ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে মালামাল লুট করে নেয় তারা। ঘটনাস্থলে গুলির খোসা ও বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, এর আগেও গত শুক্রবার সুমন নামে এক ব্যক্তির তালাবদ্ধ ঘরে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সে সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা ও তাজা ককটেল উদ্ধার করেছিল।
হামলার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, অতীতে যারা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা এখন বিএনপির ব্যানারে এলাকায় পুনরায় ত্রাস সৃষ্টি করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জিয়া বলেন, “মহিউদ্দিন মোল্লা, ময়না মোল্লা ও সাদ্দাম মোল্লার হাতে থানায় লুট হওয়া অস্ত্র দেখেছি। হামলার পরে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে—বলা হয়েছে, এলাকায় টিকে থাকতে হলে চুপ থাকতে হবে।” বেশী বাড়লে তোর লাশ গুম করে দেয়া হবে ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দালাল মোল্লা ও সেলিম মোল্লার নেতৃত্বে ২০–২৫ জনের একটি দল এই হামলায় অংশ নেয়। হামলায় জড়িতদের মধ্যে নাম এসেছে। তাদের মধ্যে ময়না মোল্লা (৪৫), শাওন (২৪), হালিম বেপারী (৪৫), রহিম বেপারী (৫০), স্বপন মোল্লা (৪২), সায়মন (২৫), সাদ্দাম মোল্লা (৩৫), সিরাজ মোল্লা (৪০), দুলাল মোল্লা (৩৭), মজিবুর (৫০), আব্বাস মোল্লা (৪০), হারুন মোল্লা (৫২), আফজাল মোল্লা (২০), রবি আলী মুন্সী (৫০) ও বাহার উদ্দিন মোল্লা (৫০)।
স্থানীয়দের দাবি, হামলায় ব্যবহৃত অন্তত তিন থেকে চারটি অস্ত্র থানায় লুট হওয়া সরকারি অস্ত্রের মধ্যে ছিল। তারা দ্রুত প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও এলাকার নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
তবে ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে। এলাকায় বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্যানেল চেয়ারম্যান ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা যায় ।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল আলম জানান, গতকালকের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আজকে লুটপাট বা হামলার কোন ঘটনা আমার জানা নেই। পুলিশের অস্ত্রের বিষয় তিনি বলেন, এটা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য বলা হচ্ছে। এটার কোন সত্যতা পাইনি।
ভোরের আকাশ/জাআ