চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৫ ১২:৫২ এএম
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে যাত্রী ও আয় বেড়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট শীর্ষে
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যাত্রী ও আয় দুটোই উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সর্বাধিক আয় হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে, পাশাপাশি নতুন চালু হওয়া ঢাকা-কক্সবাজার রুটও কম সময়ে জনপ্রিয়তা ও আয় উভয় ক্ষেত্রেই শীর্ষে উঠে এসেছে।
রেলওয়ের তথ্যমতে, পূর্বাঞ্চলের ২৯ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেনে এই অর্থবছরে মোট ১ কোটি ৫১ লাখ যাত্রী ভ্রমণ করেছেন। এদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় হয়েছে ৫০৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের আওতায় আসে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ।
দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামের সংযোগকারী এই রুটে ছয় জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। গত এক বছরে এসব ট্রেনে যাত্রা করেছেন ৪০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৩ যাত্রী। এ রুট থেকে মোট আয় হয়েছে ১৬৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর মধ্যে তূর্ণা এক্সপ্রেস থেকে আয় হয়েছে ৩১ কোটি ২০ লাখ, সুবর্ণ এক্সপ্রেস থেকে ২৯ কোটি ৫৮ লাখ এবং সোনার বাংলা এক্সপ্রেস থেকেও ২৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এসেছে।
চালু হওয়ার মাত্র দেড় বছরের মাথায় ঢাকা-কক্সবাজার রুটটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সড়কপথের যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়িয়ে অনেক যাত্রী ট্রেনকে বেছে নিচ্ছেন। গত এক বছরে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের দুই জোড়া ট্রেন থেকে আয় হয়েছে ৮৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে কক্সবাজার এক্সপ্রেস থেকে আয় হয়েছে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ, এবং পর্যটক এক্সপ্রেস থেকে ৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এই দুই ট্রেনে যাত্রী হয়েছে ১০ লাখ ২৯ হাজার ২৬৭ জন। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন থেকে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, যাত্রী সংখ্যা ৩ লাখ ৯৪ হাজার।
ঢাকা-সিলেট রুট থেকে আয় হয়েছে ৭৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যেখানে ২৬ লাখ ৮৫ হাজার যাত্রী ভ্রমণ করেছেন। পারাবত এক্সপ্রেস এককভাবে ১০ লাখ ২৪ হাজার যাত্রী বহন করেছে এবং আয় হয়েছে ২১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম-সিলেট রুট থেকে মোট আয় হয়েছে ২১ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম বিভাগের রেল ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট সব সময়ই বেশি যাত্রী বহন করে, কারণ এটি দেশের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্রের সংযোগস্থল। কক্সবাজার রুটও চালুর পর থেকে লাভজনক হয়েছে। ইঞ্জিন সংকট থাকায় এখনই ট্রেন সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব নয়।”
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. সবুক্তগীন বলেন, “গত অর্থবছরে যাত্রী ও আয় দুটোই বেড়েছে। জুলাই ও আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের কারণে ট্রেন কিছুটা কম চলেছে, না হলে আয় আরও বেশি হতো। চলতি অর্থবছরেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশা করছি।”
ভোরের আকাশ//হ.র