মধুপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫ ০২:৪৮ পিএম
শালবন পুনরুদ্ধার ও জনশুমারি শুরু
টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য বন মন্ত্রণালয় শালবন পুন:প্রতিষ্ঠার প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১০জুলাই) সকাল থেকে বন বিভাগ শালবন এলাকার স্থানীয় জনগোষ্ঠির গৃহ জরিপ ও জনশুমারী শুরু করবে। বুধবার সন্ধ্যায় মধুপুর উপজেলার দোখলা রেষ্ট হাউজে টাঙ্গাইলের বিভাগী বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসীন মধুপুর বনাঞ্চলের দোখলা বাংলোতে এক সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্তের কথা জানান।
প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে বনাঞ্চলের ৮ ইউনিয়নের ১০২টি গ্রামে মাঠ পর্যায়ের সার্বিক জরীপ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তিনি জানান, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল মধুপুরকে আদি বনে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বন মন্ত্রণালয়ের শালবন পুনরুদ্ধার প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে গৃহজরিপ ও জনশুমারীর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ২০ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪৫ হাজার একর সংরক্ষিত বনভূমিকে পর্যায়ক্রমে শুধু মাত্র শাল ও এর সহযোগি বৃক্ষে আচ্ছাদিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারি বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ। মূল বক্তা ছিলেন টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসীন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সদর উদ্যান রেঞ্জের ফরেষ্টার মোশারফ হোসেন, কারিতাসের সিনিয়র কর্মকর্তা বাধন চিরান, মধুপুর উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার নারায়ন ভৌমিক, সিএমসির সহসভাপতি আব্দুল মোত্তালেব প্রমুখ।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান নতুন বৈশিষ্ট্যের বনায়নে মধুপুর বনকে আবার আদি বৃক্ষ, চিরাচরিত উদ্ভিদ, গুল্মলতা, পশুপাখি ও জীববৈচিত্রে ফিরিয়ে আনা হবে। প্রকল্পে গারো ও কোচসহ বনবাসীদের প্রথাগত অধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্ণিতকরণের কাজ চলছে।
তিনি সরকারের এ প্রকল্প সফল করতে বনবাসীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
ভোরের আকাশ/আজাসা