ছবি: ভোরের আকাশ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বিষাক্ত সাপ ধরতে গিয়ে কামড়ে এক সাপুড়ের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে উপজেলার বল্লোবের খাস ইউনিয়নের কাপালি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাপুড়ের নাম বয়েজ উদ্দিন। তিনি ওই ইউনিয়নের ডাক্তার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ইমরান আলীর বাড়িতে বিষাক্ত সাপ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পরে সাপটি ধরতে স্থানীয় সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিনকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সাপুড়ে ওই বাড়িতে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সাপটি ধরে। বেশ কিছুক্ষণ লেজ ধরে সাপটিকে ঝুলিয়ে রাখার পর বস্তুায় ভরানোর সময় হাতে কামড় দেয়। এর কিছুক্ষণ পর শরীরে বিষক্রিয়া শুরু হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম সাপে কাড়মের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
চট্টগ্রামের রাউজানে সড়ক দুর্ঘটনায় মাওলানা সোহেল চৌধুরী (৫০) নামের এক হেফাজত নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এতে সকাল থেকে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে, আটকা পড়েছে শত শত গাড়ি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও পথচারীরা।চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘তারা (হেফাজত নেতাকর্মীরা) সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’এর আগে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলের দিকে রাউজান উপজেলার নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হেফাজত নেতার মৃত্যু হয়।সোহেল চৌধুরী মোটরসাইকেল চালিয়ে রাউজান উপজেলার নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা অতিক্রম করার সময় পেছন থেকে আসা একটি বাস তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন মাওলানা সোহেল। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।জানা গেছে, নিহত সোহেল চৌধুরী জন্মস্থান সন্দ্বীপ উপজেলায় হলেও তিনি দীর্ঘ বছর ধরে রাউজান পৌরসভার মেডিকেল গেট এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য সরকার বছরে ব্যয় করছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা! অথচ সেই মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীর সংখ্যা ১৬ জন। অভিযোগ উঠেছে, কমিটি, শিক্ষক ও স্থানীয়দের দ্বন্দ্বের কারণে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এমন চিত্র দেখা গেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর কালামপুর হাতেমিয়া দাখিল মাদ্রাসায়।সরেজমিনে দেখা গেছে, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদ্রাসার চারটি শ্রেণিকক্ষে মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করছে। এর মধ্যে দশম শ্রেণিতে ২ জন, নবম শ্রেণিতে ২ জন এবং অন্য দুই ক্লাসে ১১ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। নৈশপ্রহরী আব্দুল জলিলকে দেখা গেছে শিক্ষকদের চেয়ারে বসে থাকতে, অথচ ভারপ্রাপ্ত সুপার কামরুজ্জামান কবির সেদিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত ছিলেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নানা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে চলছে। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি ও শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব এবং কমিটির অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীহীন হয়ে পড়েছে।গত বছর এই মাদ্রাসা থেকে ৩৭ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিলেও পাস করেছে মাত্র ৭ জন। আগামী ২০২৬ সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা ৩৬ জন শিক্ষার্থীর থাকলেও বর্তমানে উপস্থিতি মাত্র ২ জন। ইবতেদায়ী শাখাতেও শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। কাগজে কলমে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী দেখানো হলেও বাস্তবে উপস্থিত মাত্র ১৫ জন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ২০-২৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী কখনোই ক্লাসে উপস্থিত থাকে না।” তারা আরও অভিযোগ করেন, সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম খলিল তার ভাই আব্দুল জলিলকে নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ দিয়ে প্রভাব খাটাচ্ছেন। তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং প্রায়ই শিক্ষকদের চেয়ারে বসে থাকেন।মাদ্রাসার সাবেক সুপার মাওলানা আব্দুল হাই অভিযোগ করে বলেন, ভারপ্রাপ্ত সুপার কামরুজ্জামান কবির ভুয়া নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মাসে দুই-একবার এসে হাজিরা খাতায় সই দিয়ে ঢাকায় চলে যান।ছবি: ভোরের আকাশতবে ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. কামরুজ্জামান কবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি দাফতরিক কাজে ঢাকায় আছি। বর্ষার মৌসুমে শিক্ষার্থী কিছুটা কম আসে। তাছাড়া এলাকায় পরপর তিনটি মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থী ভাগ হয়ে গেছে।আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াদ হাসান বলেন, “মাদ্রাসার অনিয়মের বিষয়ে আমরা জেনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ১৫ জন শিক্ষার্থী দিয়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের উৎস ও বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উচ্চপর্যায়ের তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল মাঠে নেমেছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমানের নেতৃত্বে অনুসন্ধান দলটি গঠিত হয়েছে।অন্য দুই সদস্য হলেন, অধিদপ্তরের এপিডেমিওলজি সেলের ডা. ফয়সাল তালুকদার এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ডা. তায়ফুর রহমান।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রতিনিধি দলটি রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার কয়েকটি এলাকায় অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত খামারি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এদিকে পীরগাছা, কাউনিয়া ও মিঠাপুকুরের পর এবার রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলাতেও দুই ব্যক্তির শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে।উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, মর্ণেয়া ইউনিয়নের মৌভাষা গ্রামের ওই দুই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার বলেন, মৌভাষা এলাকা কাউনিয়ার হারাগাছ সংলগ্ন। হারাগাছে যেহেতু অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে, তাই এই দুই রোগীকেও সন্দেহভাজন হিসেবে নমুনা পাঠানো হয়েছে।এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিধি দলটি সোমবার (৬ অক্টোবর) রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সেখানে খামারি আমিনুল ইসলামের তিনটি গরু মারা যাওয়ার পর সেগুলো পুঁতে ফেলা হয়েছে। মৃত গরুগুলো যে গাছের পাতা খেয়েছিল, তারও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।মঙ্গলবার দলটি কাউনিয়ার ঠাকুরদাস, পীরগাছার আনন্দী ধনীরাম ও মাইটাইল গ্রাম পরিদর্শন করেন। পীরগাছার এসব এলাকায় দুই নারী-পুরুষ অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। স্থানীয়ভাবে বেশ কিছু গবাদিপশুও আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলেও জানা গেছে।প্রতিনিধি দলের প্রধান ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. বয়জার রহমান বলেন, গবাদিপশুর সংগৃহীত ১১টি মাংসের নমুনার মধ্যে ১০টিতেই অ্যানথ্রাক্স পজিটিভ পাওয়া গেছে। আরও কিছু নমুনা পরীক্ষাধীন রয়েছে। আমরা ঘাস ও মাটির নমুনাও সংগ্রহ করেছি, সেগুলো পরীক্ষার পর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।ডা. বয়জার রহমান আরও বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, জাতীয় চাহিদা অনুযায়ী গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেওয়া হয়। আক্রান্ত এলাকা শনাক্ত হলে ‘রিং মডেল’ অনুসারে ওই অঞ্চল ও আশপাশে টিকাদান কর্মসূচি চালানো হয়, যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। তবে সিরাজগঞ্জের পর এবার এত বিস্তৃত এলাকায় অ্যানথ্রাক্স ছড়ানো উদ্বেগজনক। আক্রান্ত সব এলাকার গবাদিপশুকে টিকাদান নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুসন্ধান দল বুধবার (৮ অক্টোবর) রংপুরের মিঠাপুকুর ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
রাজবাড়ী পাংশার কশবামাজাইলে যৌথবাহিনীর এক সফল অভিযানে একটি ওয়ান শুটারগান সহ দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কশবামাজাইল ইউনিয়নের শান্তিখোলা গ্রামের মনির বিশ্বাস এর বাড়ির পশ্চিম পাশে ডুমুর গাছের নিচে হইতে পরিত্যক্ত অবস্থায় এ অস্ত্র উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।পাংশা মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে, ১টি হাতে তৈরি সচল ওয়ান শুটার পাইপ গান, ১টি সবুজ রংয়ের তাজা কার্তুজ। ৫টি সবুজ রংয়ের পটকা, ১টি হাঁসুয়া ও ১টি ৩৬ ইন্ঞ্চি লম্বা হকিস্টিক।এ বিষয়ে থানা পুলিশ জানায়, পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ