কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৫ ০৫:২৩ পিএম
কুড়িগ্রামে ভেঙে যাওয়া ব্রিজ ৮ বছরেও হয়নি সংস্কার, কলা গাছের ভেলায় যাতায়াত
কুড়িগ্রামে বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়া ব্রিজ, দীর্ঘ ৮ বছরেও হয়নি সংস্কার। পরে ভাঙা ব্রিজের নিচে বানানো হয়েছে বাঁশের সাঁকো, সেটিও হয়ে পড়েছে চলাচলের অনুপযোগী। এতে বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীসহ ১২ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। দীর্ঘ আট বছর ধরে এমন ভোগান্তিতে চলাচল করলেও নজর পড়েনি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজের বেশির ভাগ অংশই ভেঙে গেছে। ঝুঁলে আছে সামান্য একটি অংশ। অপর দিকে ব্রিজের নিচে বাঁশ ও ড্রামের তৈরি সাঁকোটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করলেও,অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনাও। কেউ কেউ কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাচ্ছেন গন্তব্যে। একমাত্র ব্রিজটির অভাবে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলা গাছের ভেলায় পারাপার হলেও, কেউ কেউ পার হচ্ছেন সাঁথরিয়ে।
এমন চিত্র কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মেকলী ও ছাটকালুয়া গ্রামের ব্রিজটির। ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় ব্রিজটির নিচের অংশের মাটি সরে, বেশির ভাগ অংশ ভেঙে যায়। তখন থেকে চলাচলে কষ্ট শুরু হয় ১০-১২টি গ্রামের মানুষের। প্রতিবছর বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত সচল করলেও, সেটিও বর্তমানে ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘ আট বছর ধরে এমন ভোগান্তিতে চলাচল করলেও নজর পড়েনি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের।
স্থানীয় আবুল হোসেন জানান, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর গ্রামবাসী ড্রামের ওপর ভাসমান বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। সেটিও বর্তমানে ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী। অনেকে সাঁতরিয়ে যাতায়াত করছে৷
স্থানীয় আব্দুল জলিল বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ দীর্ঘ ৮ বছরেও হয়নি সংস্কার। যার কারণে চরম ভোগান্তিতে দু-পারের হাজার হাজার মানুষ। ব্রিজটি অভাবে আমরা কৃষি পণ্য আনা নেয়া করতে পারছি না। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারছে না।
জমিলা বেগম নামের এক নারী বলেন, ব্রিজটি না থাকার কারণে আমরা যাতায়াত করতে পারি না। ছেলে মেয়েরাও স্কুলে যেতে পারে না। খুব সমস্যাত আছি আমরা।
কুড়িগ্রাম স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইউনুস আলী বিশ্বাস বলেন, ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রত সময়ের মধ্যে প্রস্থাপনা পাঠানো হবে।
ভোরের আকাশ/হ.র