তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, সব ধোঁয়াশা কেটে যাবে: ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন
খুব অল্প সময়ে মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশে আসবেন। সব ধোঁয়াশা কেটে একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হবে। কালো মেঘ দূর হবে, ঘাতকের বিচার হবে, দেশের পাচার হওয়া টাকাগুলো ফেরত আসবে। আমরা মনে করি আগামীকাল ১৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যে আলোচনা হবে সেখান থেকেই এই বার্তাটুক বাংলাদেশের মানুষ পাবে। আমরা বলবো এটি শীর্ষ নেতাদের একটি বৈঠক।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার আরএস রেস্টুরেন্টে জুলাই আগস্ট আন্দোলনে শহীদ এবং আহত পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহয়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন এসব কথা বলেন।
জাহিদ বলেন, যাঁরা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের হয়তো আমরা ফিরিয়ে দিতে পারব না। কিন্তু আমরা তো তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারি। সেই নির্দেশনা সব সময় আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিয়ে রেখেছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আমাদের আছে। আপনারা সব সময় মনে রাখবেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আপনাদের পাশে আছে। বিএনপি কখনো জনগণকে ছেড়ে যায়নি, বিএনপি পালিয়ে যায়নি। বহু নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেছে। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে সমর্থন দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘বিএনপিকে শেষ করে দেওয়ার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু বিএনপি মনে করে, দলের চেয়ে দেশ বড়। এ জন্য দেশের মানুষ বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বিএনপি জনগণের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথ থেকে সরে আসবে না। যখন দেখব গণতন্ত্র ফিরেছে, তখনই বিএনপি রাজপথ ছাড়বে। গণতন্ত্রের পক্ষে হবে আগামীর বাংলাদেশ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সহসম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীসহ জুলাই-আগস্টে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জামালপুর জেলায় নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি'র (এনসিপি) উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে।শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেল ৫টায় চন্দ্রা লাইট হাউজ মোড়ে এ কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা এনসিপির আহবায়ক লুৎফর রহমান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুব শক্তির আহবায়ক ডা. জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক হিফজুল বকুল, জামাত নেতা ও হজরত শাহজামাল (র) এর পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় দু'গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ -কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের বেলালাবাদ দত্তপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু'গ্রামের ২০ জনের মত আহত হয়েছে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের দু'পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে বেলালাবাদ দত্তপুর বাস স্ট্যান্ডে মহাসড়কে অটো দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম ও উত্তর পালাহার গ্রামের সজল মিয়ার মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত দু গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বেলালাবাদ দত্তপুর বাজারে মীমাংসার জন্য বসে। বিষয়টি মীমাংসা না হয়ে এক পর্যায়ে ময়মনসিংহ- কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের এমএন ফিলিং স্টেশনের সামনে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে দু গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।এতে ইটপাটকেল এর আঘাতে দু'গ্রামের মধ্যে উত্তরপালাহার গ্রামের কাঞ্চন (২৮), ইসরাফিল (৪৮), আলআমিন (২৫), অপু (২০), হিমেল (২৫)। দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম (৪০), শরীফ মিয়া (২৫), ফারুক (৩০), রমজান মিয়া (৩৩), ফজলুর রহমান (৫০)সহ ২০ জন আহত হন। আহতরা নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী সমিতি নান্দাইলের কানুরামপুর পরিবহন পরিচালনা রোডে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি অনুমোদন দেন ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী সমিতি সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী গত ১১ জুন কমিটি অনুমোদন দেন। এ কমিটি ঘোষণার পর থেকে দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দু'গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অটো চালকে মারধর করতেছিল মানিক আর সমুন তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার উপরে হামলা করেছে। তারা দলবল নিয়ে আক্রমণ করেছে।উত্তরপালাহার গ্রামের সজল মিয়া বলেন, আমার এলাকার ছোট ভাইদেরকে ইসলাম মারধর করছে আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করলে আমাকেও গলায় ধরে। মটরযান কর্মচারী সমিতির কমিটি ঘোষণার পর থেকেই তারা এমন শুরু করেছে।নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, চাঁদাবাজি নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনা মীমাংসার জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হয়েছে।নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বার্তা গ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই কিশোরকে আটক করলেও পুলিশ তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে আটিগ্রাম ইউনিয়নের বার্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলমগীর হোসেন (৪২) ওই গ্রামের আবুল ফকিরের ছেলে। হামলায় তাঁর ডান হাতের একটি আঙুল কেটে যায়। পাশে থাকা ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন মোবাইল হাতে থাকায় কোপ থেকে বাঁচেন, তবে তাঁর মোবাইল ফোনটি ভেঙে যায়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলার মূল সূত্রপাত হয় বিয়ের যাত্রীবাহী একটি বাসকে কেন্দ্র করে। বৃহস্পতিবার রাতে বার্তা গ্রামের আলমগীরের মেয়ের বিয়ের বাসটি সিংগাইরের ইরতা কাশিমপুর গ্রাম দিয়ে যাওয়ার সময় বাসে থাকা এক কিশোরীর থুতু এক মোটরসাইকেল আরোহীর গায়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।পরে শুক্রবার সকালে তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন কিশোর এসে আলমগীরের বাড়ির সামনে সাউন্ড দিয়ে উসকানিমূলক আচরণ করে। বাধা দিতে গেলে তারা আলমগীর ও তাঁর ভাইয়ের ওপর চাপাতি নিয়ে হামলা চালায়।স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের মধ্যে দুই কিশোর—সিংগাইর উপজেলার ইরতা কাশিমপুর গ্রামের নীরব ও আপনকে ধরে ফেলে। তাঁদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।তবে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা কাউকে আটক করিনি, স্থানীয়রা আমাদের খবর দিলে আমরা তাদের থানায় নিয়ে আসি।” অস্ত্র জব্দের বিষয়েও তিনি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল নামে এক বাসিন্দা বলেন, “আমার সামনেই ছেলেদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”ভোরের আকাশ/এসএইচ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের রংপুরসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।শনিবার (১৪ জুন) ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার নূরজাহানপুর এলাকায় দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও দুইজন।নিহতদের দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের একজন তামান্না আক্তার (২২), পিতা হাসেম আলী। অপরজন আমিনুল ইসলাম (৩৫)।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে আমবোঝাই কয়েকটি ট্রাক দাঁড়িয়েছিল। ভোর ৩টার দিকে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে ৫ জন নিহত হন।খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে। এ সময় আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ