শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫ ০৪:২৬ পিএম
দক্ষিণ বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী মাদবরের চর হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনার ধীরগতি
দক্ষিণ বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী শত বছরের হাট মাদারীপুরের শিবচরের মাদবরের চর হাটটিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদুল আযাহা উপলক্ষে কোরবানির পশু বেচাকেনা চলছে। ঈদের বাকি ১৫ দিন, তুলনা মূলক ভাবে এখনো হাটটি যে ভাবে জমার কথা রয়েছে এখনো তা জমে উঠেনি। গরু আমদানির তুলনায় চাহিদা কিছুটা কম থাকায় দাম ওকিছুটা কম দেখা গেছে।
শত বছরের হাটটি সাপ্তাহিক প্রতি বৃহস্পতিবার মিলে থাকে। তবে কোরবানির মৌসুম এলে ক্রেতা-বিক্রেতাদে সুবিধার্থে ১৫ থেকে ২০ দিন আগে থেকেই রোববার ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহে দুই দিন বসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কোরবানি উপলক্ষে এই হাটে ছোট কিংবা মাঝারি জাতের পশু ছাড়াও বড় বড় গরু ছাগল উঠে থাকে। পদ্মানদীর বেষ্টনীর পার ঘেষে বসা এই হাটটি ক্রেতা-বিক্রেতাদের দৃষ্টি নন্দিত করেছে। পদ্মানদী পারে হাটটি বসায় নদী পথে দুর দুরান্ত থেকে প্রান্তিক খামারসহ ছোট বড় খামারীর বেপারী ছাড়াও ক্রেতা-বিক্রতাগন হাটটিতে এসে সুবিধা ভোগ করছে। হাটটিতে দেশি বিদেশী পাইকারেরা নদী পথ ও স্থল পথে বিভিন্ন যানবাহনে করে দেশি বিদেশে নানা প্রজাতির পশু সরবরাহ করে থাকে।
রোববার (২৪ মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শত বছরের মাদবরের চর হাটটিতে কোরবানির পশু বিক্রি কিছুটা কম দেখা গিয়েছে।
বেপারীদেরা বলেন, এই হাটে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা পেয়ে পাচ্ছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, গাড়ী নিয়ে আসার সময় পথে পথে চাঁদাবাজি আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। সরকারের কাছে আমাদের ব্যবসায়ীদের দাবি যাতে করে অতি দ্রুত এই চাঁদাবাসীদের আইনের আওতায় এনে চাঁদা বন্ধের দাবি জানাই।
এব্যাপারে হাট ইজারাদার মালিক কতৃপক্ষ উপজেলা বিএনপির নেতা শামীম চৌধুরী বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই হাটটিতে ৫ আগস্টের পূর্বে ফ্যাসিবাদীদের দুষোরেরা ইজারা এনে সরকারী কর ফাঁকি দিত। বিগত ১৭টি বছরে বিএনপি অথবা অন্য কোনো দলের লোকজন ইজারা ডাকতে পারতো না। বর্তমানে আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষের জমিতে নিজ হাতে গড়া এই হাটটি গত বারের ইজারার চেয়ে এবার, প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি টাকায় হাটটি ডাক পেয়েছি। তবে আমরা বিভিন্ন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বার্থের দিকে বিবেচনা করে ইজারা না বাড়িয়ে আগের মতই নিচ্ছি। সার্বিক ভাবে সকল সুযোগ সুবিধা চালু রয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে, অপর ইজারাদার মালিক, ইথু চৌধুরী বলেন, সরকারী প্রশাসন সহ ভলেন্টিয়ারা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। কোনো ধরনের টাকা পয়সা লেনদেন করতে ঝুকি নেই। পাইকারদের জন্য থাকা খাওয়ার সু -ব্যবস্তা রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসআই