পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫ ০১:২১ এএম
মাদকাসক্ত নাতির হাতে দাদির মর্মান্তিক মৃত্যু
মাত্র ২০ হাজার টাকার একটি মোবাইল চাওয়াকে কেন্দ্র করে দাদির প্রাণ কেড়ে নিল তারই নাতি। পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরামপুর গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রোকেয়া বেগম (৭৫) ছিলেন এলাকায় শ্রদ্ধেয় একজন প্রবীণ নাগরিক। তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলাকেটে হত্যা করে তার নাতি মোরসালিন, যিনি মাদকাসক্ত এবং শহরের একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন ২৪ জুলাই গভীর রাতে রেস্টুরেন্ট থেকে কাউকে না জানিয়ে গ্রামে চলে আসে মোরসালিন। রাতের আঁধারে জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে নিজের দাদিকে গলাকেটে হত্যা করে সে। এরপর দ্রুত ফিরে যায় শহরে, যেন কিছুই ঘটেনি।
রোকেয়া বেগমের ছেলে লিটন হালদার প্রথমে প্রতিবেশী এক পরিবারের সঙ্গে জমিজমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে তদন্তে বেরিয়ে আসে এক ভয়াবহ সত্য এই খুনের পেছনে কোনো শত্রু নয়, দায়ী ছিল রক্তের সম্পর্কেই লুকিয়ে থাকা এক বিকৃত মন।
গ্রেপ্তারের পর মোরসালিন স্বীকার করে ২০ হাজার টাকার একটি মোবাইল কেনার জন্য দাদির কাছে চেয়েছিল সে। দাদি রাজি না হওয়ায় আগেই সে হত্যার পরিকল্পনা করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ তার কাছ থেকে গাঁজাও উদ্ধার করে।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো: রবিউল ইসলাম জানান, এটি অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার, পরিকল্পিত এবং মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। মোরসালিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে এবং তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভোরের আকাশ//হ.র