ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৫ ০৩:০৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মামলার এজহারভুক্ত তিন আসামিকে পৃথক জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নয়ন মিয়া (২৪), সবুজ মিয়া (৩০) ও সুলতান মিয়া (২৮)। তারা সবাই ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝিয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তবে ঘটনার মূলহোতা ইয়াছিন পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় ভাই মো. আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝিয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভোক্তভোগী কিশোরী বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝিয়াকান্দি গ্রামে। সে ওই গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ইয়াসিন দীর্ঘদিন ধরে তাকে রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সর্বশেষ কিশোরীর পরিবারকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল। কিন্তু কিশোরী প্রাপ্তবয়স্ক না হাওয়ায় ইয়াছিনের প্রস্তাবে রাজি হয়নি তার পরিবার। এতে ইয়াছিন ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে কিশোরীর বাড়িতে হামলা চালায় ইয়াছিন।
কিশোরীর বড় ভাই আজিজুল ইসলাম বলেন, “আমরা গরীব মানুষ। ইয়াছিনরা এলাকায় প্রভাবশালী লোক। আমার বোনের বিয়ের বয়স না হাওয়ায় এবং তাদের সাথে আমাদের পরিবারের মিল না থাকায় বিয়ের প্রস্তাব না করে দেই। এতে ইয়াছিন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে এসে আমার বোনকে খুন করার উদ্দশ্যে গলায় ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে। শুধু তাই নয়, বোনের ডান হাতের কব্জি ও কনুইয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হাড় ও রগ কেটে গুরুতর জখম করে। এখন আমার বোন বাঁচবে কি-না আল্লাহ জানে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। যাতে আর কারও বোনের সাথে এমন ঘটনা না ঘটে।”
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, “উভয় পরিবারকে বুঝিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করার আগেই ইয়াছিন এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।”
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে পৃথক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ভোরের আকাশ/মো.আ.