ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫ ০২:৪৪ পিএম
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোডে যানবাহনের সারি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে ২৫-৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ১২টার দিকেও দেখা গেছে থেমে থেমে যানজট।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে চান্দুরা-বুধন্তী পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার রাস্তা সোমবার রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় আশুগঞ্জ থেকে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন অনেক যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে আটকে আছেন রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল উপজেলার বেড়তলা, বিশ্বরোড মোড়, কুট্টাপাড়া, ইসলামাবাদ, বাড়িউড়া বাজার, শাহবাজপুর, চান্দুরা-বুধন্তী পর্যন্ত পার হয়ে এ পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায়, সরাইল বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বরের চারপাশে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে গত রোববার রাত ২টা থেকে দূরপাল্লার যানবাহন মহাসড়কের গোলচত্বর এলাকায় এসে চলতে হচ্ছে ১ থেকে ৫ কিলোমিটার গতিতে। এসব গর্ত অতিক্রম করতে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্য অংশে ২৫-৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার দুপর ১২টার দিকেও এমন পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বিশ্বরোড মোড় আসলে গর্তের কারণে গাড়ি চালাতে মন চায় না। গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড। এখান দিয়ে সারাদেশে গাড়ি যাতায়াত করে। কিন্তু বড় বড় গর্ত ভরাট করার লোক নাই।’
ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, ‘পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক রূপ নিয়েছে যে, পুরো মহাসড়কে যান চলাচল একপ্রকার থেমেই যায়। এতে যানজটে আটকে থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগও চরমে ওঠে।’
কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন, কেউ ক্লান্ত হয়ে গাড়ির বাইরে বসে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন বিদেশগামী যাত্রীরা। তাদের নির্ধারিত সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যানজটে আটকে পড়া পণ্যবাহী যানবাহনগুলোও পড়েছে বেশ বিপাকে।
এদিকে বিকল্প সড়ক বা তাৎক্ষণিক কোনো কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় সমস্যা কাটছে না। এমতাবস্থায় যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মামুন রহমান ভোরের আকাশকে বলেন, ‘বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বরের চারপাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনগুলোকে মহাসড়কে ৭০ কিলোমিটার বেগে এসে এখানে চলতে হচ্ছে ১ থেকে ৫ কিলোমিটার গতিতে। পণ্যবাহী একটি ট্রাককে মোড় অতিক্রম করতে সময় লাগে ৫ মিনিট। এতে যানজট তো হবেই। তবে কর্তৃপক্ষ ১/২ দিনের মধ্যে কাজটি করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তারপরও আমরা মহাসড়কে যানজটমুক্ত রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ভোরের আকাশ/আজাসা