-->

জাকেরের হাফ-সেঞ্চুরিতে কুমিল্লার সংগ্রহ ১৪৯ রান

অনলাইন ডেস্ক
জাকেরের হাফ-সেঞ্চুরিতে কুমিল্লার সংগ্রহ ১৪৯ রান

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জাকের আলির হাফ-সেঞ্চুরিতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৯ রান করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অনবদ্য ৫৭ রান করেন জাকের আলি।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

ব্যাট হাতে শুরুটা বেশ ভালই করেন কুমিল্লার ওপেনার লিটন দাস তবে সেটা বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সিলেটের পেসার শ্রীলংকার থিসারা পেরেরার করা প্রথম ওভারের প্রথম ও তৃতীয় বলে বাউন্ডারি মারেন লিটন। চতুর্থ বলে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিসকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৮ রান করা লিটন। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন তিন নম্বরে নামা সৈকত আলি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মাশরাফির শেষ তিন বলে তিনটি বাউন্ডারি মারেন সৈকত।

পাকিস্তানের স্পিনার ইমাদ ওয়াসিমের করা পরের ওভারে দারুন এক ডেলিভারিতে বোল্ড আউট হন ৪টি চারে ১২ বলে ২০ রান করা সৈকত।

এরপর উইকেটে এসে দ্রুতই ফিরেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমিরের বলে কভার দিয়ে মারতে গিয়ে আকবর আলিকে ক্যাচ দেন ২ রান করা ইমরুল। ২ পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান পায় কুমিল্লা।

চতুর্থ উইকেটে জাকের আলিকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ওপেনার ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান। দ্রুত রান তোলায় মনোযোগি ছিলেন জাকের। দেখেশুনে খেলছিলেন মালান। দু’জনের গড়া হাফ-সেঞ্চুরি জুটিতে শতরানের দিকেই যাচ্ছিলো কুমিল্লার দলীয় স্কোর।

কিন্তু দলীয় ৯৯ রানে মালান-জাকেরের জুটি ভাঙ্গেন পেরেরা। ৩৯ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৭ রান করা মালানকে শিকার করেন পেরেরা। জাকের-মালান ৪৯ বলে ৫৩ রান যোগ করেন মালান।

ছয় নম্বরে নামা মোসাদ্দেক হোসেন ৫ রান করে আমিরের দ্বিতীয় শিকার হন।

১৮তম ওভারের প্রথম বলে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জাকের। এজন্য ৩৫ বল খেলেছেন তিনি। শেষ ওভারের প্রথম বলে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবিকে বোল্ড করে ম্যাচে প্রথম উইকেটের দেখা পান মাশরাফি। ৮ রান করেন নবি।

একই ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মারেন ক্রিজে নতুন ব্যাটার আবু হায়দার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৯ রানের সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৩ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। ৪ বলে অপরাজিত ৭ রান করেন হায়দার।সিলেটের পেরেরা-আমির ২টি করে এবং মাশরাফি-ওয়াসিম ১টি করে উইকেট নেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version