-->

মিয়াদাদ হতে পারলেন না অ্যাডায়ার

ক্রীড়া ডেস্ক
মিয়াদাদ হতে পারলেন না অ্যাডায়ার

ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরেছে আয়ারল্যান্ড। মাত্র ৪ রানে হারা ম্যাচে অসাধারণ এক লড়াইয়ের উদাহরণ তৈরি করেছে তারা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ভারতের করা ২২৫ রানের জবাবে আয়ারল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে। এর ফলে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে জিতে নিলো ভারত।

টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের অ্যাডায়ার ৩৬ বছর আগের এক স্মৃতি টেনে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সেই স্মৃতির পুনরাবৃত্তি করতে পারলেন না অ্যাডায়ার। ৩৬ বছর আগে ১৯৮৬ সালে শারজায় ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াদাদ শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন। বোলার ছিলেন চেতন শর্মা। জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল চার রানের, মিয়াদাদ মেরেছিলেন ওভার বাউন্ডারি। ডাবলিনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ১৭ রান। উমরান মালিকের করা শেষ ওভারের প্রথম পাঁচ বল থেকে আয়ারল্যান্ড ১১ রান তুলে নেয়। ফলে শেষ বলে তাদের ছয় রানের দরকার হয়। অ্যাডায়ার এ ওভারেই উমরান মালিককে দুটো বাউন্ডারি মেরেছিলেন। ফলে একটা সম্ভাবনা এবং স্বপ্ন যে অ্যাডায়ারের চোখে মুখে ঝিলিক দিচ্ছিল না তা নয়। কিন্তু অ্যাডায়ার জাভেদ মিয়াদাদ হতে পারলেন না। অন্যদিকে উমরান মালিকও চেতন শর্মার মতো লজ্জায় ডোবার হাত থেকে রেহাই পেলেন। শুধু তাই নয় গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চমৎকার বোলিং করে দলকে জয় এনে দিলেন।

এমন এক ম্যাচে দর্শকরা দীপক হুদার টি-২০ সেঞ্চুরি, সাঞ্জু স্যামসনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বলবির্নিয়া বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখার সুযোগ পেয়েছে। একই সঙ্গে জর্জ ডকরেল ও মার্ক অ্যাডায়ারের নাটকীয় ব্যাটিং ছিল বাড়তি পাওনা।

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতের ইনিংস জুড়ে ছিলেন শুধু সাঞ্জু স্যামসন ও দিপক হুডা। ভারত ৭ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান করেছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা দলকে এনে দিয়েছিলেন ১৭৬ রান। দিপক ব্যাটিং তাণ্ডব করে টি-২০ ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। মাত্র ৫৭ বলে ১০৪ রান করেন তিনি। ইনিংসটি সাজাতে ৯টি বাউন্ডারির পাশাপাশি ছয়টি ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। এমন ইনিংসের জন্য স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি, একই সিরিজ সেরাও। অন্যদিকে সাঞ্জু করেছেন ৪২ বলে ৭৭ রান। নয়টি বাউন্ডারির পাশাপাশি চারটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি।

জবাবে আয়ারল্যান্ডের সূচনা ছিল দারুণ। বিশেষ করে দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বলবির্নিয়া দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন। ৭২ রানের জুটি ছিল তাদের। মাত্র ৫.৪ বলে তারা এই রান জমা করেছিলেন। মাঝে হেক্টরের ২৮ বলে ৩৯ রানের পাশপাশি শেষ উইকেট জুটিতে জর্জ ডকরেল ও মার্ক অ্যাডায়ারের চমৎকার ব্যাটিং দলকে যেমন জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল তেমনি ম্যাচে উত্তেজনার রেশ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাদের ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতায় ফিরে এসেছিল ৩৭ বছর আগের স্মৃতি। যদিও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবে রূপ পায়নি তবে ডকরেলের ১৬ বলে ৩৪ রান এবং অ্যাডায়ারের ১২ বলে ২৩ রান চমক ঝড়িয়েছে। ডকরেল তার ইনিংসি তিনটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মেরেছিলেন। অ্যাডায়ারও তিনটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন, তবে তার ইনিংসে একটা মাত্র ওভার বাউন্ডারি ছিল।

 

মন্তব্য

Beta version