-->
সেকান্দর হায়াত খানের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন

শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও দলীয় সিদ্ধান্তের প্রকাশ্য বিরোধিতাকারীরা দলের প্রতিপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও দলীয় সিদ্ধান্তের
প্রকাশ্য বিরোধিতাকারীরা দলের প্রতিপক্ষ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের জন্যে একটি অগ্নি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলে জাতীয় অস্তিত্ব হুঁমকির মুখোমুখি পড়বে। আমাদের অর্জিত সকল অর্জন ধুয়ে মুছে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সমগ্র জাতি। তাই আমরা কিছুতেই সম্ভাব্য এই পরিণতি মেনে নিতে পারি না। কেননা আজ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানান ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারীরা জানে তাদের পক্ষে নির্বাচনী বৈতরণী পাড় হওয়া অসম্ভব। তারপরেও আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবেই। এই নির্বাচনকে নিয়ে যারা অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক কথাবার্তা বলছে তারা কখনো কামিয়াল হবেন না।

 

তিনি আজ বুধবার বিকেলে মোহরাস্থ জান আলী খান চৌধুরী বাড়িতে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাকালীন পাঁচলাইশ থানার মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাবেক সহ-সভাপতি মরহুম সেকান্দর হায়াত খানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।

 

তিনি আরো বলেন, মরহুম সেকান্দার হায়াত খাঁন ছিলেন দলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তিনি দুঃসময়ে দলের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে লড়াই সংগ্রামের পুরোভাগে ছিলেন। তাঁর ত্যাগী জীবনধারা এই প্রজন্মের রাজনীতিকদের অনুসরণ করা উচিত। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা যারা দলের পদ-পদবী ধারী তাদেরকে সাংগঠনিক নির্দেশনা, নীতি-আদর্শগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে। আমাদের সকলের একমাত্র নেতা হচ্ছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা তারই একজন কর্মী মাত্র। তাই আমরা কেউ তাঁর সিদ্ধান্ত ও কথার বাইরে যেতে পারি না।

 

তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সকল কার্যক্রম এবং ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের সম্মেলনগুলো মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের তত্তাবধানে সম্পন্ন হতে চলেছে। কেউ কেউ এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে নানা ধরণের ব্যত্যয় ঘটাতে চেষ্টা চালাচ্ছে। মহানগর আওয়ামী লীগ সম্পন্ন গণতান্ত্রিক ও বৈধ পন্থায় সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলো চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ যদি একে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাহলে তিনি সত্যিকার অর্থেই দলীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে ব্যক্তি স্বার্থকেই বড় করে দেখছেন এবং কেন্দ্রের নির্দেশনা ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। কোন বিষয়ে ভিন্ন মত থাকলে তা দলীয় দলীয় ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে মিমাংসা করা যায়। কিন্তু প্রকাশ্যে ভিন্নমত পোষণ করে পত্র পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে মোবাইলে স্ট্যাটাস দিয়ে নির্লজ্জ মন্তব্য করেন। তিনি সত্যিকার অর্থের দলের প্রতিপক্ষ। এদের বিরুদ্ধে সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।

 

তিনি প্রয়াত জননেতা সেকান্দার হায়াত খাঁনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তাঁর মত ত্যাগী নেতা ও নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিক এর শূন্যতা কখনো পূরণ হবে না। তিনি একজন সৎ ও সাহসী মানুষের প্রতিচ্ছবি। তিনি আমাদের কাছে অবশ্যই চিরস্মরণীয়।

 

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা জোবাইরা নার্গিস খান, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, হাজী বেলাল হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নুর মোহাম্মদ নুরু, নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, মো. জামাল উদ্দীন, জসিম উদ্দীন, সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু, খালেদ হোসেন খান মাসুক, মরহুমের সন্তান আশেক রসূল খান বাবু, ইউনিট আওয়ামী লীগের মোঃ নাসির উদ্দীন, মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

 

এর আগে খতমে কোরআন, দোয়া, মিলাদ-মাহফিল শেষে মরহুমের কবরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।

মন্তব্য

Beta version