-->

বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে : ওবায়দুল কাদের

বিশ্ব সংকটের সময়েও বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মানবিক সংকটে যখন বিশ্বের সব রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন সমন্বিত প্রয়াস চালাচ্ছে, তখন বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে। তাদের নেতারা নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য উস্কানি দিচ্ছে। তারা জনগণের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে দিগভ্রান্ত হয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

 

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের জন্য চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সেসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে না।

 

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, দেশের জনগণ ভালো করেই জানে- তারা কোথায় আছে। আর বিএনপির আমলে কোথায় ছিল? গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আর্থ-সামাজিক সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ আজ এক মজবুত ভীতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তাই দেশের জনগণ নিশ্চিতভাবে বিএনপির সেই অনুর্বর, উষর, অন্ধকারময় সময়ে ফিরে যেতে চায় না।

 

জনগণ বিএনপিকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত বিএনপি প্রতিশোধের নেশায় বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে। আমরা সেই সন্ত্রাসের উত্তাপ থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, দূরে রাখার চেষ্টা করেছি।

 

তিনি আরো বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই বলেছেন যে তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। অর্থাৎ এ সমাবেশে সরকার বাধা দেয়নি। সরকার শুধু সতর্ক ছিল যে এ সুযোগে বিএনপি যেন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারে।

 

বিএনপি বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় এসে জনগণের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১-০৬ সালে তারা আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। একুশে আগস্টের মতো নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে গণহত্যা সংঘটিত করেছে। অথচ আজ তারা মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে গুমের বানোয়াট ও মনগড়া পরিসংখ্যান উপস্থাপন করছে। তাদের অতীতের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্যই তারা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জনগণ দ্বারা মারাত্মকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তারা ২০১৪ জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টায় সারা দেশে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও অগ্নিসন্ত্রাস চালায়। ওই সময় দেড় শতাধিক নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাত্মক যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছে শত শত মানুষ। বিএনপি তাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের জন্য আবারও সেসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়েছে।

 

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় জনগণকে শান্তি ও নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব। শান্তি-নিরাপত্তার পাশাপাশি চলমান বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে জনগণকে স্বস্তি প্রদান করে চলেছে সরকার। তথ্যের অবাধ প্রবাহের এ যুগে দেশের জনগণ ভালো করেই জানে, বৈশ্বিক সংকটের অভিঘাত কত গভীর এবং তা মোকাবিলায় সরকার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং জনগণ ফুঁসে ওঠেনি। বরং বৈশ্বিক এ সংকটকে পুঁজি করে বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

 

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আমরা জানি, বিএনপি তাদের ব্যর্থতা ঘুচাতে স্বভাবজাত সন্ত্রাসের পথে ফিরে যাবে। তবে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version