-->

রমজান নাজাত লাভের উত্তম মাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
রমজান নাজাত লাভের উত্তম মাস

পবিত্র রমজান আরবি বারো মাসের শ্রেষ্ঠ একটি মাস। এ মাসে বেশি বেশি আল্লাহর নাজাত পাওয়া যায়। মানুষকে সৃষ্টি করে আল্লাহ তার এ শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে জানিয়ে দিলেন, ‘আমি জিন এবং মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদত করার জন্য।’ (সূরা যারিয়াত : ৫৬)।

 

এছাড়া হাদিসে আছে, এ মাসের সুন্নত বা নফল ইবাদত বাকি অন্য মাসগুলোর ফরজের সমান এবং এ মাসের একটি ফরজ ইবাদত অন্য মাসের ৭০টি ফরজের সমান মর্যাদা রাখে। অর্থাৎ মানুষের পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্য হলো সে তার প্রতিপালকের ইবাদত বা বন্দেগি করবে।

 

এ ইবাদত দুই রকমের। একটি অবশ্য পালনীয় বা ফরজ, অপরটি অতিরিক্ত বা নফল। আবশ্যকীয় পালনীয় ইবাদতের পাশাপাশি আমরা যে অতিরিক্তি কাজ বা ইবাদত করি সেটাই নফল ইবাদত।

 

সারা বছর নফল ইবাদতের গুরুত্ব রয়েছে। তবে রমজান মাসে এর গুরুত্ব আলাদা। কেননা রমজান মাসে একটি নফল আদায় অন্য মাসের একটি ফরজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। এ সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে ফরজ ইবাদত ছাড়াও সুন্নত বা নফল ইবাদত করবে, তাকে এর বিনিময়ে অন্য সময়ের ফরজ ইবাদতের সমান সওয়াব প্রদান করা হবে।

 

আর যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো ফরজ আদায় করবে সে অন্য সময়ের ৭০টি ফরজ ইবাদতের সমান সওয়াব লাভ করবে।’ (বায়হাকী)। রমজানে নফল ইবাদত বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ বোনাস। রমজানের সমাপ্তিতে এ বোনাসেরও সমাপ্তি ঘটে। আবার নফল ইবাদত ফরজের পরিপূরক।

 

যেমন রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তার বান্দাদের কাছ থেকে সর্বপ্রথম ফরজ নামাজের হিসাব নেবেন। যদি ফরজ নামাজ পরিপূর্ণ ও ঠিক থাকে, তাহলে সে সফলকাম হবে এবং মুক্তি পাবে।

 

আর যদি ফরজ নামাজে কোনো ঘাটতি দেখা যায়, তখন ফেরেস্তাদের বলা হবে, দেখ তো আমার বান্দার কোনো নফল নামাজ আছে কিনা? তার যদি নফল নামাজ থেকে থাকে তবে তা দিয়ে আমার বান্দার ফরজের ঘাটতি পূরণ কর। অতঃপর অন্যান্য আমলগুলো এভাবে গ্রহণ করা হবে।’ (তিরমিযী)।

 

‘নফল ইবাদত করলে ফরজের সমান সওয়াব’ এ সুযোগটা রমজান মাসের জন্য খাস বা নির্দিষ্ট। এটা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য বিশেষ একটি উপহার। অল্প ইবাদতে অধিক সওয়াব লাভের সুবর্ণ সুযোগ।

 

তাছাড়া নফল ইবাদত আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, ‘নফল ইবাদতের মাধ্যমে বান্দা আমার এত নিকটবর্তী হয় যে, আমি তাকে ভালোবাসতে শুরু করি। আমি যখন ভালোবাসি তখন আমি তার শোনার কান হয়ে যাই যার মাধ্যমে সে শোনে, আমি তার হাত হয়ে যাই যার মাধ্যমে সে কাজ করে, আমি তার পা হয়ে যাই যার মাধ্যমে সে চলাচল করে।

 

যদি আমার কাছে বান্দা কোনোকিছু চায় আমি তখনই তাকে তা দান করি। যদি আমার কাছে আশ্রয় চায় আমি তাকে আশ্রয় দিয়ে থাকি।’ (বোখারি)।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version