-->

৯ মাস পর মরদেহ ফেরত দিল ভারত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
৯ মাস পর মরদেহ ফেরত দিল ভারত

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় চোর সন্দেহে সালাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার দীর্ঘ ৯ মাস পর মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

 

শনিবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্তের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে মরদেহটি দেশে আনা হয়।

 

প্রথমে মরদেহটি তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ গ্রহণ করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারা পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ।  পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ রাতেই পরিবারের হাতে বুঝিয়ে দেয়।

 

নিহত যুবক সালাম পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের কাহারপাড়া এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।

 

ঘটনার পর থেকে মরদেহটি দেশে আনার জন্য প্রশাসনের সহায়তায় উভয় দেশের হাই কমিশন ও মানবাধিকার কর্মীদের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। 

 

প্রায় ৯ মাস পর ভারতীয় পুলিশ তাদের সকল প্রক্রিয়া শেষে শনিবার সন্ধায় বাংলাদেশে প্রেরণ করে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে মরদেহ ভারতে আটক রাখার পাশাপাশি নির্মম হত্যাকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা। একই সাথে সরাসরি হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তারা।

 

সালামের বড় ভাই আলিম হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে ছোট ভাইয়ের মরদেহ নিতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করি। সকলেই অপেক্ষায় ছিলাম কবে তার মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হবে। দীর্ঘ ৯ মাস পর ভারতের সাড়া পেয়ে আমি একজন ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে ১৬ মে ভারতে যাই, মরদেহ দেশে আনার জন্য।

 

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, মরদেহ পাওয়ার পর সকল আইনি ব্যবস্থা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এর আগে, গত ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট রাতে বাংলাদেশি যুবক সালাম রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার চাউলহাটি সংলগ্ন বড়ুয়াপাড়া গ্রামে কয়েকজন যুবকের সাথে প্রবেশ করলে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে মৃত্যুবরণ করে সালাম। পরদিন বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে। এরপর ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি ভারতের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখে।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version