-->

শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে ঈদ আনন্দ ও বৈশাখী মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে ঈদ আনন্দ ও বৈশাখী মেলা

শেষ মূহুর্তে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমে উঠেছে ঈদ আনন্দ ও বৈশাখী মেলা। তবে মেলায় এবার বেশি আকর্ষণ কসমেটিক্স ও গৃহস্থলির দ্রব্যাদির। ওইসব পণ্য কিনতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে নানা বয়সী নারী-পুরুষ।

 

রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বরের ন্যাশনাল বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে গত ১৩ এপ্রিল মাসব্যাপী তাঁত বস্ত্র ও হস্ত কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলার আয়োজন করে বেনারশী মসলিনও জামদানি সোসাইটি।

 

শনিবার বিকেলে মেলায় গিয়ে দেখা যায় যুবক-যুবতীসহ নারীদের ভীড়। তারা পছন্দের কসমেটিক্স ও ঘর সাজাতে গৃহস্থলির জিনিসপত্র কিনছেন। শিশুদের স্লিপার, ম্যাজিক নৌকা, ট্রেন , ট্রয়ট্রেন , চড়কি, নাগরদোলায় বিনোদন নিচ্ছে শিশুরা।

 

কসমেটিক্স দোকানের কয়েকজন ক্রেতা জানান, মেলায় আসলে ঘুরতে এসেছিলেন। কিন্তু আসার পর অনেক কসমেটিক্স ও বিভিন্ন প্রকারের অলংকার পছন্দ হওয়ায় সেগুলো কিনেছেন।

 

মেলার দর্শনার্থী সামিয়া জানান, মেলা বেশ ভাল লেগেছে। বিশেষ করে মেলার গেইট ও ফুয়ারা অনেক বেশি সুন্দর।

 

কয়েকজন নারী জানান, সাধারণত পরিকল্পনা করে ঘর সাজাতে দ্রব্যাদি কেনা হয় না। কোনো মেলায় গেলে এসব জিনিপত্র কেনা হয়। তাই সেই উদ্দেশ্যে মেলায় আসা হয়েছে। তবে মেলায় আসা অনেক জিনিসি-পত্রই তাদের পছন্দ হয়েছে।

 

বিক্রেতারা বলেন, মেলায় ক্রেতার সংখ্যা সন্তোষজনক। বিশেষ করে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতার সমাগম ঘটছে। তবে জিনিপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় বেচা-বিক্রি বেশ ভাল হচ্ছে।

 

মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি মঈন খান বাবুল জানান, গত ১৩ এপ্রিল মেলা শুরু হয়। ৩০ এপ্রিল থেকে স্কুল খোলা হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের যেন অসুবিধা না হয় এজন্য মেলার সময়সীমা সীমিত করা হয়েছে। স্কুল চলাকালীন সময় প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত মেলা চলবে। আসছে ১২ মে মেলা শেষ হবে বলেও জানান তিনি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version