-->

ট্রাকে বাড়ি ফিরছেন নিম্ন আয়ের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ট্রাকে বাড়ি ফিরছেন নিম্ন আয়ের মানুষ

নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন সর্ব শ্রেণির মানুষ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন তারা। ফলে বাড়ছে ভিড় ও গাড়ির চাপ। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলের পাশাপাশি কাঠফাটা রোদে রোজা থেকে কম খরচে ট্রাকে বাড়ি ফিরছেন অনেকে।

 

সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত মহাসড়কে দেখা যায়, সকালের দিকে রাস্তা অনেকটা ফাঁকা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। গাড়ির চাপ বাড়লেও স্বাভাবিক রয়েছে এ মহাসড়ক। তবে অন্য যানবাহনের পাশাপাশি তীব্র গরম উপেক্ষা করে পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপে করে গ্রামে ফিরছেন মানুষ।

 

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড়ে কড্ডার মোড় এলাকায় কথা হয় ট্রাকে করে বাড়ি ফেরা কয়েকজনের সঙ্গে। তারা বলেন, আমরা ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করি, বেতনও খুব কম। বেশি ভাড়া দিয়ে বাসে করে আসা সম্ভব না। তাই কম খরচে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছি। বগুড়াগামী ট্রাক যাত্রী সোবাহান, রফিক, রুবেল সুমন বলেন, বাসে ভাড়া বেশি আমরা সামান্য বেতনের চাকরি করি।

 

তাই কষ্ট করে ট্রাকে বাড়ি ফিরছি। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেক ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে আমাদের। মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতি এবং যানজট না থাকলেও কাঠফাটা রোদে তীব্র গরম সহ্য করে ট্রাকে করেই বাড়ি যাচ্ছি।

 

আরেক ট্রাক যাত্রী হৃদয় জানান, তিনি ঢাকায় স্বল্প বেতনের চাকরি করেন। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য তার নেই। তাই কম ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই রোজা থেকে তীব্র গরমে ট্রাকে করে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি নাটোরে যাচ্ছেন।

 

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা-পুলিশের ওসি মো. বদরুল কবীর বলেন, সকাল থেকে মহাসড়ক ফাঁকাই ছিল। তবে সময়ের ব্যবধানে গাড়ি কিছুটা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

 

মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় খুব একটা নেই। বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলের পাশাপাশি ট্রাক এবং পিকআপে করেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

 

তবে মহাসড়কে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও মানুষের ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত করতে হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version