-->

প্রিয় দলের পতাকা টানাতে গিয়ে প্রাণ গেল কিশোরের

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
প্রিয় দলের পতাকা টানাতে গিয়ে প্রাণ গেল কিশোরের

বিশ্বকাপ ফুটবলের উত্তাপ দুনিয়াজুড়ে। সবাই ভাসছে বিশ্বকাপ জোয়ারে। প্রতিবারের মতো এই আনন্দ ছুঁয়ে গেছে বাংলাদেশেও। দেশজুড়ে টানানো হচ্ছে প্রিয় দলের পতাকা। শহরের ছাদে ছাদে শোভা পাচ্ছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পাশাপাশি অন্যান্য দলের পতাকা। উত্তেজনা ছুঁয়ে যাচ্ছে ছেলে-বুড়ো সবার মধ্যে। কিশোরদের মধ্যে এ উচ্ছ্বাস সবচেয়ে বেশি। তারা প্রিয় দলের সার্জি পরতে, পতকা টানাতে ব্যস্ত। কিন্তু প্রিয় দলের পতাকা ওড়াতে গিয়ে জীবন গেল এক কিশোরের। হতভাগ্য এই কিশোরের নাম ইনান আবরার।

 

পরিবারের একমাত্র সন্তান আবরার। রাজধানীর মীরপুর-১২তে বাবা-মার সঙ্গে থাকত সে। চুপচাপ স্বভাবের ছেলেটা ছিল বাবাভক্ত। বাবার সঙ্গেই প্রতিদিন নামাজ পড়তে যেত। সোমবার বাবার সঙ্গেই মাগরিবের নামাজ পড়ে কেবল ১৬ পেরোনো আবরার। কিছু সময় পর তিনতলা বাসার বারান্দায় প্রিয় দল ব্রাজিলের পতাকা টানাতে যায় সে। কিন্তু বিধি ছিল তার বামে। বারান্দার পাশেই ছিল ১১ হাজার বোল্ডের বিদ্যুৎ লাইন। সেই লাইনের ওপর গিয়ে পড়ে পতাকাবাঁধা স্টিক। সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আবরার। ছিটকে পড়ে পাশে থাকা অ্যাকুরিয়ামের ওপর। তার শরীরের ওপরই ভেঙে পড়ে অ্যাকুরিয়াম। সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাস বিষাদে পরিণত হয়।

 

জানতে চাইলে তার কাকা (প্রতিবেশী) মাসুদ আহমেদ রতন বলেন, ছেলেটা আমাদের সামনেই বড় হয়েছে। ও এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে ভাবিনি। ওর কাছে দুটি পতাকা ছিল। একটা আমাদের দেশের, একটা তার পছন্দের দল ব্রাজিলের। পতকা দুটি বাঁধা ছিল ঘরের পর্দা টানানো স্টিকের সঙ্গে। বাংলাদেশের পতাকা টানাতে গিয়েই এ ঘটনা ঘটে। অ্যাকুরিয়ামের গ্লাসে ওর ঘাড় কেটে যায়। প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছিল। আমরা ওকে পরপর দুটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু এর আগেই ও চলে (মরে) গেছে। একই প্রসঙ্গে ফিরোজুর রহমান মামুন বলেন, ওর বাবা আমার বন্ধু। একটিমাত্র সন্তান ছিল ওদের। বাচ্চাটার এই অকালযাত্রা মেনে নেয়ার মতো নয়। ছেলেটা ও লেভেল পাশ করে এ লেভেলে ভর্তি হয়েছিল। পরিবারের কত স্বপ্ন ছিল ওকে নিয়ে! সব শেষ হয়ে গেল! সব বাচ্চাদের বলব, ওরা যেন সতর্ক হয়। অভিভাবকদেরও এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version