-->

পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র ও সরকার সমস্যা সৃষ্টি করেছে: আনু মুহাম্মদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র ও সরকার সমস্যা সৃষ্টি করেছে: আনু মুহাম্মদ

ঢাকা: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন- জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানোর কারণে সমস্ত কিছুর দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে তৈরি পোশাক খাতের মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকমাস থেকে সব নিত্যপণ্যের দাম লাফ দিয়ে বাড়ছে। সরকার বলছে, মুক্ত বাজার অর্থনীতির কারণে এমন হচ্ছে। এটাকে মুক্তবাজার বলে না, বিপুল সম্পদশালীদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে এই অর্থনীতি। পরিকল্পিতভাবে এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে রাষ্ট্র ও সরকার।

 

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘বাজারদর, মজুরি বৃদ্দি ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রসঙ্গে’ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এই দাবি করেন। খাত সংশ্লিষ্ট ১০টি সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন এই সভার আয়োন করে।

 

এতে বক্তব্য দিয়েছেন- গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রডারেশনের সভাপতি এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি প্রধান তাসলিমা আখতার, জাতীয় সোয়েটার গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি এএএম ফয়েজ হোসেন, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি মাহমুদ হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদ রেজা প্রমূখ।

 

মজুরী নির্ধারনের বিষয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, শ্রমিকেরা গবেষণা বুঝেন না এমন নয়। নিজে টিকে থাকার জন্য কতটা খাবার দরকার এটা তাদের জানা দরকার। সক্ষমতা থাকা দরকার। সংগঠকদেরও এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার।

 

তিনি বলেন, শিল্প শ্রমিকদের মধ্যে ৫০ শতাংশ হলো গার্মেন্টস কর্মী। বিশাল সংখ্যক মানুষ ইনফরমাল সেক্টরে কাজ করে। অর্থনৈতিক গুরুত্ব, সংখ্যা ও নারী শ্রমিকদের সংখ্যার দিক থেকে তারা অনেক বড় একটা পর্যায়ে আছে। গার্মমেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যান্য শ্রমিকদের যুক্ত করতে হবে।

 

আনু মুহাম্মদ দাবি করেন, সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি সবচেয়ে কম। ভারত শ্রীলঙ্কার চা শ্রমিকদের মজুরির আশেপাশেও তারা নাই। এছাড়া মুনাফার দিক থেকে বাংলাদেশের গার্মেন্টসদের মুনাফা সবচেয়ে বেশি। এখাতের শ্রমিকদের মজুরি যা দেওয়া হচ্ছে- তার বেশি পরিমান বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। সুতরাং এই বিষয়ে শ্রমিকদের জানাতে হবে। ৫০ বছর পরে এমন মজুরি দাবি করা হচ্ছে যা দিয়ে তেমন কিছুই হবে না। এত বছর পরেও খেয়ে পরে বেঁচে থাকার দাবি জানাতে হচ্ছে। শিক্ষা, চিকিৎসার খরচ বাড়াতে গেলে খাওয়া খরচ কমিয়ে দিচ্ছে অনেকেই।

 

উল্লেখ্য, দীর্ঘ চল্লিশ বছরের শিক্ষকতা জীবন শেষে গত ৩০ জুন অবসর গ্রহণ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক।

 

ভোরের আকাশ/ইএস/জেএস

মন্তব্য

Beta version