-->

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব শান্তি দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব শান্তি দিবস পালিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকায় পালিত হয়েছে জাতিসংঘ ঘোষিত “বিশ্ব শান্তি দিবস-২০২২'। ঐক্যবদ্ধ শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘এন্ড রেসিজম বিল্ড পিস’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে জেএমআই গ্রুপ।

 

বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর  সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের 'আব্দুস সালাম' মিলনায়তনে আলোচনা সভাযর আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। এসময় বক্তারা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানবতার সুখ শান্তি অর্জনে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব শান্তি দিবস পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

 

সভাপতির বক্তব্যে জেএমআই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থপনা পরচিালক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, "কোভিড-১৯ তার কারণে সারাবিশ্বে একটি অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার শুরু হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ। বিশ্ব শান্তির জন্য আমরা চাই এই মুহুর্ত থেকে যুদ্ধ বন্ধ হোক। আলোচনাই হোক সকল সমস্যার সমাধান।"

 

তিনি আরো বলেন, “গত এক যুগের বেশি সময় ধরে জেএমআই গ্রুপ বিশ্ব শান্তি দিবস পালন করে আসছে। আমরা চাই এই একটি দিনের অনুশীলনকে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি দিন তথা ৩৬৫ দিন-এর অনুশীলনে পরিণত করে পরিপূর্ণভাবে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক।

 

আসুন, হাতে হাত মিলিয়ে, উদার মানসিকতা নিয়ে নির্যাতিতদের পাশে দাড়িয়ে আমরা শান্তি এবং নিরাপত্তার

 

মৌলিক অধিকারসমূহকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হই। বর্ণবাদমুক্ত পৃথিবী গড়তে আমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবি।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস এন্ড বানফ্রিন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস এন্ড কনটিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সাইফুদ্দিন আহমেদ।

 

সমাপনী বক্তব্যে জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান মো: জাবেদ ইকবাল পাঠান বলেন, “জেএমআই পরিবারের প্রতিটি সদস্য জাতিসংঘের শান্তি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়কে সমুন্নত রাখতে বহু পরিকর। বর্ণবাদ মোকাবেলায় তাই আমাদের আজকের এই প্রচেষ্টা সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।

 

আলোচনা সভা শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বেলুন ও সাদা পায়রা উড়িয়ে বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত

 

শোভাযাত্রাটি প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চতুরে গিয়ে শেষ হয়।

 

উল্লেখ্য, বিদেশিদের সাথে যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান জেএমআই গ্রুপ। ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করা জেএমআই গ্রুপে বর্তমানে রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, তুরষ্ক ও থাইল্যান্ডের যৌথ বিনিয়োগ। জেএমজাই গ্রুপের ৪২টি প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি কর্মী কর্মরত আছেন। দেশে বিশ্বমানের বিভিন্ন জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে জেএমআই ।

 

একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮১ সাল থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনটিকে "বিশ্ব শান্তি দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার' এই দিবসটি পালিত হয়ে আসলেও, ২০০২ সাল থেকে তা ২১ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে সারা বিশ্বে অতি গুরুত্বের সঙ্গে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে "বিশ্ব শান্তি দিবস'।

মন্তব্য

Beta version