রাজনৈতিক মাঠে বেড়েছে উত্তাপ। চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বিরাজ করছে ঘুমোট পরিবেশ। দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে চলতি মাসে মাঠে নামার আভাস দিয়েছে বিএনপি। হরতাল, অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে রেখেছে আওয়ামী লীগ। এই মাসেই নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণার কথা রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের। আর দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির সতর্ক সংকেত দিয়ে রেখেছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ফলে বাগযুদ্ধ নানা রূপে মাঠযুদ্ধে গড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দল গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে এই ফেব্রুয়ারিতে রাজনীতির মাঠ বেশ উত্তপ্ত থাকতে পারে। নতুন দল গঠন করা হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ হবে। আর আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে বিপক্ষের শক্তিগুলো সক্রিয় হলে রাজপথে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। ঘোষণা না দিলেও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে মাঠে থাকবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। ফলে রাজনৈতিক নানা ঘটনার কারণে ফেব্রুয়ারি মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
বিএনপি, সরকার, সমন্বয়ক : বাংলাদেশে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ছয়মাস পার না হতেই অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে, বিশেষ করে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে প্রধান ভূমিকা রাখা ছাত্রদের সাথে নির্বাচনসহ কয়েকটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে এ সময়ের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির দূরত্ব আরও প্রকট হয়ে ওঠার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে থাকা তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম নির্বাচন ও নির্বাচন পরিচালনাকারী সরকার নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন তাতে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র মতপার্থক্যের বিষয়টিই প্রকাশ পেয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু নির্বাচনবিষয়ক ইস্যুই নয়, বরং রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেওয়া ও জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের উদ্যোগকে যেভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছে বিএনপি, তা উভয় পক্ষের মধ্যে আস্থার সংকট ও দূরত্বের মাত্রা বাড়িয়েছে। এখন যে অন্তর্বর্তী সরকার, সেটি ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে এসেছে। সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে তাদের তিনজন আছেন। স্বাভাবিকভাবেই স্বার্থের দ্বন্দ্বে ক্ষমতায় থেকে দল তৈরির এই চেষ্টা ভালোভাবে নেয়নি বিএনপি। তারা সরকারকে নিরপেক্ষ মনে করছে না। ইতোমধ্যে নানাভাবে সরকারকে তারা বিষয়টি অবগত করানোর চেষ্টা করছেন।
দ্রুত সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন - এমন দাবিতে এবার মাঠে নামতে যাচ্ছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দল। এখনও কোনো কর্মসূচি চূড়ান্ত করা না হলেও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করছে বিএনপি। আলোচনার ভিত্তিতে শিগগির এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও দ্রুত সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন-এমন বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে ইতোমধ্যেই সভা-আলোচনা চলছে দলটির কেন্দ্রীয় পর্যায়ে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটি। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে সমাবেশ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভুলগুলোও ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। ঠিক কী কী করলে দেশ ও জনগণের জন্য ভালো হবে, সে বিষয়ে পরামর্শও দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। তবে এখনও আসেনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন নিয়ে একাধিকবার সরকারকে তাগাদ দিয়েছে বিএনপি। দ্রুত নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন দলটির একাধিক নেতা। এবার সমালোচনা ও রাজপথে কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে সঠিক পথে রাখতে চায় দেশের অন্যতম বৃহৎ এই রাজনৈতিক দল। এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
নির্বাচনের দাবিতে চাপ তৈরি করতে কর্মসূচি নিতে পারে বিএনপি, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, সরকারের ভুল শুধরে সঠিক রাস্তায় আনতে এবং রাজনৈতিক সরকারের পথ পরিষ্কার করতে দ্রুতই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বিএনপি। তাদের দলের এ পদক্ষেপকে সরকারের সমালোচনা বা আন্দোলনও বলা যেতে পারে।
গত বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন ইঙ্গিত দেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সরকার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ভুল করতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার সব সিদ্ধান্ত নির্ভুলভাবে নেবে, তা ঠিক নয়, তাদেরও ভুল হতে পারে। কিন্তু সেটাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার দায়িত্ব এ দেশের সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল, গণতান্ত্রিক শক্তি ও সামাজিক শক্তিগুলোর।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘সেই জায়গা থেকে আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে চিন্তা করছি যে সরকারের ভুল শুধরে সঠিক রাস্তায় এনে গণতান্ত্রিক রাস্তা বিনির্মাণের জন্য এবং একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের পথ পরিস্কার করার জন্য আমরা খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেব। সেটাকে আপনারা আন্দোলনও বলতে পারেন, সমালোচনাও বলতে পারেন বলে জানান এই বিএনপি নেতা।
ছাত্রদের দল গঠন : চলতি মাসের মাঝামাঝিতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে বেশ সক্রিয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংগঠনের নেতারা চাচ্ছেন ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন দলের নাম ও আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করতে। জানা গেছে, দলের নেতৃত্বে কারা আসবেন সেটিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে দলের প্রধান করা হতে পারে বলে চাউর হয়েছে।
দল গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একজন সমন্বয়ক বলেন, দলের নাম চূড়ান্তকরণ, গঠনতন্ত্র প্রণয়নসহ বেশ কিছু কাজ চলছে। দল গঠনের বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। পরে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও সমন্বয়কদের মাঝে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা আগে থেকেই অবগত আছেন। প্রধান উপদেষ্টার সম্প্রতি দেয়া বক্তব্যে তা প্রকাশ পেয়েছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্ররা দল গঠন করবে। এ লক্ষ্যে তারা দেশজুড়ে লোকজনকে সংগঠিত করছে। তিনি বলেন, একটি সম্ভাবনা হলো, ছাত্ররা নিজেরাই একটি দল গঠন করবে। শুরুতে যখন তারা উপদেষ্টা পরিষদ সভা গঠন করছে, তখন আমি তিনজন ছাত্রকে আমার উপদেষ্টা পরিষদে নিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, যদি তারা দেশকে ‘জীবন’ দিতে পারে, তাহলে তারা উপদেষ্টা পরিষদে বসতে পারে এবং জীবন দেওয়ার জন্য কী করছে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এদিকে, ছাত্ররা সরকারে থেকে যদি দল গঠন করে এ দেশের মানুষ সেটা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার বিকেলে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর খেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে ‘দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায়, এতে আপত্তি নেই বরং আনন্দিত মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবে, রাজনীতিতে আসবে আমরা তাদের স্বাগত জানাব। তারা তাদের নতুন চিন্তা-ভাবনা দিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবে কিন্তু সরকারে থেকে যদি দল গঠন করেন এ দেশের মানুষ সেটা মেনে নেবে না।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : ১৮ দিনের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সরকার থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রায় ছয়মাস পর এটিই হতে যাচ্ছে দলটির সবচেয়ে বড় কর্মসূচি। বলা চলে, প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হরতাল-অবরোধের মতোও কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এর আগে ১০ নভেম্বর নূর হোসেন দিবস পালন করতে দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানানো হয়েছিল। এবারের কর্মসূচি বাস্তবায়নকে মাঠে ফেরার পরীক্ষা হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ট্যাঙ্গরা এলাকায় আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসে। সরকার পতনের পর এটিই ছিল দলের প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির সভা। ওই অঞ্চলে একটি বাসায় অবস্থান করছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তার বাসায়ই বৈঠকটি করা হয়। কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ওয়ার্কিং কমিটির যেসব সদস্য অবস্থান করছেন তারা প্রায় সবাই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ভারতে থাকছেন না এমন সদস্যরা এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও টেলিফোনে সভায় যুক্ত ছিলেন। তিনি সবার বক্তব্য শোনেন এবং দিকনির্দেশনা দেন। ওই বৈঠক থেকেই ফেব্রুয়ারির কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ যাত্রায় ১৮ দিনে পাঁচ ধরনের কর্মসূচির প্রস্তাব করে দলের ওয়ার্কিং কমিটি। সহজ থেকে ধারাবাহিকভাবে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সারা দেশে জনমত গড়ে তুলতে লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ পালন করা হবে। মাঝে কয়েকদিন দিন বিরতি দিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালিত হবে। এর পরের সপ্তাহে অবরোধ ও হরতাল ডাকা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ কর্মসূচি এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল পালন করবে আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি ঘোষণার বিবৃতিতে দলটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, দেশের মানুষের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের এসব কর্মসূচিতে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ওয়ার্কিং কমিটির সেই বৈঠকে অংশ নেওয়া এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম থেকে কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা কর্মসূচি সফল করতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, গত এক সপ্তাহে দলটির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল, লিফলেট বিতরণসহ বেশ কিছু কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গত কয়েকদিনে সাতক্ষীরা, বান্দরবন, কক্সবাজার,যশোর, চট্টগ্রাম, যশোর, জামালপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
ঢাকাসহ সারাদেশে এ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চলছে দাবি করে আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আনোয়ার হোছাইন বলেন, আগামী পাঁচ দিন ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে এ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চলবে। এ কর্মসূচি পালনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন।
মন্তব্য