রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে আশপাশের জেলা ও নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে যোগ দিচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে ঘিরে যেন কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পল্টনের বিজয়রগর, নাইটিঙ্গেল মোড়, ফকিরাপুল ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা ঝামেলা কেউ সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রয়েছে।
‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। এ ছাড়া সারা দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করবে দলটির নেতা-কর্মীরা।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। বিভাগীয় শহরগুলোর শোভাযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।গত রবিবার সমাবেশটি হওয়ার তারি নির্ধারণ করেছিল বিএনপি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুই দিন পিছিয়ে সমাবেশের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ স্থলের আশপাশের এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন। নেতাকর্মীদের হাতে ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার দেখা গেছে।
সমাবেশের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) মো. শাহরিয়ার আলী গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আজকের সমাবেশ ঘিরে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা বা নাশকতার শঙ্কার তথ্য নেই।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ডিএমপি’র সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত রয়েছে র্যাব। বাড়ানো হয়েছে টহল, গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য