-->

১৫ মাস পর মুক্তি পেলেন খাদিজা

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ মাস পর মুক্তি পেলেন খাদিজা

অবশেষে ১৫ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

 

সোমবার সকাল ৯টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।

 

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

জানা গেছে-মুক্তির পর তিনি ঢাকায় উদ্দেশে রওনা দেন। আজ তার দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। এসে পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

 

এর আগে জেল গেটে সাংবাদিকদের জানান, তার সঙ্গে যেটা হয়েছে, পুরোটাই অন্যায় হয়েছে। তিনি বিনা দোষে ১৫ মাস জেল খেটেছেন। কারাগারের ভেতরে খুব ভালো ছিলেন না। নামাজ, রোজ আর লেখাপড়া করে সময় কাটিয়েছেন।

 

খাদিজা জানান- এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চান না। বলার মত মানমানসিকতাও নেই। আজ স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেবেন।

 

খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ।গত বছরের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। আর দেলোয়ার বিদেশে পলাতক।

 

আদালত ও আইনজীবী সূত্রের তথ্যমতে, বিচারিক আদালতে দুবার খাদিজার জামিন আবেদন নাকচ হয়। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। অন্যদিকে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে খাদিজা আবেদন করেন, যা রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের সঙ্গে গত ১০ জুলাই আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আপিল বিভাগ আবেদন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেন। ফলে এই সময় পর্যন্ত খাদিজার জামিন স্থগিত থাকে।আগের ধারাবাহিকতায় খাদিজার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version