-->

আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার

অবশেষে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিল সরকার। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজ আমদানিতে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে।

 

আজ সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের, শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানি করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখা থেকে আমদানির অনুমতি বা আইপি নিতে হয়।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। বর্তমানে মজুত আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন।

 

এদিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এ দাম ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। আর গত মাসের এ সময়ে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ৪০ টাকার মতো বেড়েছে।

 

টিসিবির তথ্যমতে, গত বছর এ সময়ে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।

 

বর্তমানে এক কেজি দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ ২৮ থেকে ৩০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি উন্মুক্ত থাকায় পেঁয়াজ আমদানি বেশি হয়েছিল। তখন দেশি পেঁয়াজের বাজারদর কম ছিল, প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ছিল। কৃষকেরা কম দাম পেয়েছিলেন। সে জন্য পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ ধরে রাখতে এবার আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছিল কৃষি মন্ত্রণালয়।

 

কিন্তু দাম নিয়ন্ত্রণে নানা থাকায় সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে অবশেষে পেয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিল সরকার।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version