-->

বইমেলায় জমজমাট শিশুপ্রহর

নিজস্ব প্রতিবেদক
বইমেলায় জমজমাট শিশুপ্রহর

এবার শুরতেই মেলা জমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্যবারের চেয়ে প্রতিদিনই লোক সমাগম বেশি হচ্ছে। আসছেন ছোট-বড় সব ধরনের পাঠক। অমর একুশে বইমেলার শিশু প্রহরের দ্বিতীয় এবং মেলার চতুর্থ দিন বেশ জমজমাট ছিল শিশুপ্রহর। এদিন বেলা

 

১১টায় বইমেলার দুয়ার খুলতেই শিশু কর্নার মুখর হতে শুরু করে শিশু-কিশোরদের পদচারণায়। শিশু প্রহর জমজমাট হয়ে ওঠে টিভি পর্দার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের আয়োজনে।

 

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেলের দিকে আসেন সব ধরনের পাঠক। উপস্থিত ছিলেন নতুন-পুরাতন লেখকরা। মেলায় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও অনেক শিশুকে দেখা গেছে শিশুপ্রহরে। এছাড়াও বাবা-মায়ের সঙ্গে বই কিনতে দেখা যায় শিশুদের। শিশু-কিশোরদের বইয়ের পছন্দের তালিকায় রয়েছে কমিকস, রূপকথা, গল্প, সায়েন্স ফিকশন, গণিত নিয়ে মজার খেলা ও ছড়ার বইগুলো।

 

এদিকে শিশু-কিশোরদের আগমনে বিক্রি বেড়েছে মেলার শিশু চত্বরের স্টলগুলোতে। এই অংশের স্টল মালিকরা জানান, ছুটির দিন ও শিশুপ্রহর ছাড়া অন্য দিন মেলায় শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি কম থাকে। তাই এ সময় শিশু চত্বরে বইয়ের বেচাকেনাও কম হয়। শুক্র-শনিবার অভিভাবকরা শিশু-কিশোরদের মেলায় নিয়ে আসেন। এই দুদিন বিক্রিও অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

 

ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আসলাম উদ্দিন সন্তানদের নিয়ে এসেছেন বইমেলায়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিশুদের জন্য সুন্দর আয়োজন শিশুপ্রহর। এখানে আসলে শিশুরা আনন্দ খুঁজে পায়, বই পড়ার প্রতিও আগ্রহ বাড়ে। তাই গত বছরের ন্যায় এবারো তাদের নিয়ে এসেছি। আনন্দ করার পাশাপাশি, ওরা বইও কিনেছে।

 

অন্যদিকে শিশুদের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু সিসিমপুরের মঞ্চ ছিল নানাবয়সি শিশুদের কোলাহলে মুখর। কারণ সেখানে ছিল টুকটুকি, শিকু, ইকড়ি ও হালুমের পরিবেশনা। এ সময় পছন্দের চরিত্রগুলোর ছবি তোলার হিড়িক পড়ে শিশুদের মাঝে। বাচ্চাদের ছোটাছুটি আর দুরন্তপনায় শিশু চত্বর প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

 

বাবার সঙ্গে আসা পাঁচ বছর বয়সি শিশু আয়মান জানায়, সিসিমপুর তার অনেক পছন্দ। টুকটুকি, শিকু, ইকড়ি ও হালুমের সঙ্গে ছবি তুলেছে সে। আর তার পছন্দের কার্টুনের বইও কিনেছে।

 

এবারের বইমেলায় শিশুপ্রহরের আয়োজন করেছে সিসিমপুর। শুক্রবার বিকেল ৩টায় শিশুপ্রহরের উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। মাসব্যাপী এ মেলায় সপ্তাহের দুদিন শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাকবে শিশুদের জন্য, এই সময়টাকে ঘোষণা করা হয় শিশুপ্রহর হিসেবে। বইমেলায় শিশু চত্বরটি এবার বাংলা একাডেমির মন্দিরের পাশের গেট দিয়ে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে। শিশু চত্বরে এবার ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে ১১১টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 

এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এই শিশুদের আমরা নিয়ে যেতে পারব। আমরা শিশু প্রাঙ্গণটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। মেলার কিছু দিন যাওয়ার পর শিশু ও তাদের অভিভাবকরা বুঝতে পারবে স্থানটি কেমন হয়েছে। সিসিমপুর শুধু বিনোদন নয়, এটি শিক্ষারও একটি অংশ।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version