মো. নুর হাসান, পঞ্চগড়: টানা কয়েকদিন ধরে দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। রাত থেকে হিম বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোঁটার মতো কুয়াশা ঝরছে। শনিবার সকাল নয়টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে এই মৌসুমে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এর আগে, সকাল ৬ টার দিকে রেকর্ড হয়েছিলো ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে জেলার বিভিন্ন সড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
রাজ্জাক নামে এক মোটরসাইকেলের আরোহী বলেন, সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছি, ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে দিয়েছি, তারপরেও সামনে কিছু দেখা যায় না।
গত কয়েকদিনের টানা তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীত বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পরছেন না। তবে জীবিকার তাগিদে কৃষি জমিতে, নদীতে পাথর তুলতে, আবার কাউকে চা-বাগানে কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।
দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ এলাকার অটো চালক আনারুল ইসলাম জানান, সকালে রিক্সা নিয়ে বের হয়েছি। তীব্র ঠান্ডার কারণে যাত্রীরা বের হয় না।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট এলাকার মশিউর নামে এক শ্রমিক বলেন, সকালে ঠান্ডার কারণে কাজ করা যাচ্ছে না, তার পরেও কাজে যেতে হচ্ছে, কাজ না করলে খাবো কি?
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, গত কদিন থেকে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা উঠানামা করছে। শনিবার সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভোরের আকশ/মি
মন্তব্য