-->

ট্রান্সকম সিইও সিমিনসহ ৬ কর্মকর্তার জামিন বাতিল ও রিমান্ড নিয়ে রিভিশন আবেদন গ্রহণ

শুনানি আগামী ১৬ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ট্রান্সকম সিইও সিমিনসহ ৬ কর্মকর্তার জামিন বাতিল ও রিমান্ড নিয়ে রিভিশন আবেদন গ্রহণ

দেশের অন্যতম ব্যবসায়ী গ্রুপ ট্রান্সকম লিমিটেডের অধিকাংশ শেয়ার জালিয়াতি করে দখল ও ভূয়া পারিবারিক সেটেলেমেন্ট দলিল তৈরির মামলায় গ্রুপটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ ৬ কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিভিশন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

আবেদনের গ্রহনযোগ্যতার ওপর সোমবার (২৫ সভেম্বর) শুনানি শেষে আগামী ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব।

এর আগে মামলা দুটির বাদী ট্রান্সকমের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ্ হক পৃথক দুটি রিভিশন আবেদন ফাইল করেন। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম রিভিশন আবেদন দুটির পক্ষে সোমবার শুনানি করেন।

মামলার অন্য অসামীরা হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।

সিমিন রহমানের আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি উভয়পক্ষের উপস্থিতে এই দুটি রিভিশন আবেদনের ওপর শুনানি করবেন আদালত।

শাযরেহ্ হকের আরেক আইনজীবী আমিনুল হক (Aminul Hoque) জানান, লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শেরযাহ্ হক ও ছেলে আরশাদ ওলিউর রহমানের ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে শেয়ার ট্রান্সফারের যে ভূয়া দলির তৈরি করে আরজেএসসিতে দাখিল করার অভিযোগ সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে, সেসব দলিলের মূল কপি পাওয়া যাচ্ছে না। এই মামলার তদন্তের স্বার্থে মূল দলিল প্রয়োজন। এছাড়াও আসামীরা জামিনে থাকায় তাদের গ্রেপ্তর করে জিজ্ঞাসাবাদও করা যাচ্ছে না।

এজন্য গত ২৮ মে আসামদের জামিন বাতিল করে পৃথক দুই মামলার একটিতে ৭ দিন ও আরেকটিতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার সিএমএম কোর্টের ২৭ নম্বর আদালতে পৃথক দুটি আবেদন করা হয়। ২৯ মে সেই আবেদন দুটি খারিজ করেছেন আদালত।

শাযরেহ্ হকের আইনজীবীরা জানান, সিএমএম আদালতের ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পৃথক দুটি রিভিশন আবেদন ফাইল করে সিএমএম কোর্টের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়েছে, এবং তদন্তের স্বার্থে আসামীদের জামিন বাতিল করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে এই মামলাগুলো গুলশান থানায় দায়ের করে লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ্ হক। এরপর এই মামলার কয়েক আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্র্তূীত তারা জামিন পান আর বিদেশ পলাতক থাকা সিমিন রহমান দেশে এসে আসার পর আদালত আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version