-->
শিরোনাম
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

এডহক কমিটির পক্ষে দেয়া হাইকোর্টের চেম্বার জজের আদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

নিজস্ব প্রতিবেদক
এডহক কমিটির পক্ষে দেয়া হাইকোর্টের চেম্বার জজের আদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

কতিপয় শিক্ষক ও এক-দুই জন স্বার্থান্বেষী অভিভাবকের স্বার্থের দ্বন্দ্বে জর্জরিত মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। ৫ মার্চ মাউশিতে তথ্য গোপন করে দায়িত্ব নেওয়া বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন দায়িত্ব প্রাপ্তির পর থেকে নানান অনিয়ম, দুর্নীতি, ছাত্র-ছাত্রীর শিফট পরিবর্তন বাণিজ্য, নিয়োগ-বাণিজ্য, শিক্ষক কর্মচারী বদলী বাণিজ্য, মামলার নামে চাঁদাবাজিসহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। এতে শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এর ফলে একাডেমিক কার্যক্রমে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটে।

 

ইতোমধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের অসহযোগিতার কারণে তৎকালীন জনাব এ. কে. এম. দেলোয়ার হোসেনকে সভাপতি করে গঠিত এডহক কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও ভোটার তালিকা না করায় নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়। পুনরায় ২৩ মে জেলা প্রশাসক ঢাকাকে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠন করা হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ও শিক্ষক প্রতিনিধি আলমগীর জামিলের অসহযোগিতার কারণে উক্ত এডহক কমিটির মূলকাজ নিয়মিত কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়।

 

উল্লেখ্য, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ৩/০৯/২৩ থেকে ১২/১১/২০২৩ পর্যন্ত সর্বমোট ৭০ দিন ছুটির আবেদন না করে সভাপতির অনুমতিবিহীন প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেন। এতে করে প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান এবং বিভিন্ন বিল পরিশোধে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। তার অনুপস্থিতিতে বাংলা বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ইবনে নঈম মো: জায়েদী রাশেদ কাঞ্চন নিজেকে সহকারি প্রধান শিক্ষক (প্রশাসন) দাবি করেন এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের টিপ সহি জাল করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে চিঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন। আরেকজন সিনিয়র সহকারি শিক্ষক এ.বি.এম. আলীনুর রহমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের টিপ সহি নিয়ে কমিটির অনুমোদন ব্যতীত নিজেই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন। বিষয়টি এডহক কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক, ঢাকা জানতে পেরে আলিনুর রহমান এবং জায়েদী রাশেদ কাঞ্চনকে ১ অক্টোবর তারিখে এডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। উক্ত আলিনুর এবং জায়েদী রাশেদ কাঞ্চন নোটিশের সদুত্তর দিতে না পারায় তাদেরকে সভাপতি বিধি মাফিক ১০ অক্টোবর সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

 

এদিকে মামলাবাজ একলিমুর রেজা কুরইশ যিনি মনিপুর স্কুলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পাঁচ মামলা করেছেন তিনি বাদী হয়ে উক্ত এডহক কমিটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। ২১ নভেম্বর তারিখে উক্ত রিটের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট ১২-১১-২০২৩ ইং তারিখের এডহক কমিটির উপর স্থগিত আদেশ প্রদান করেন। হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে এডহক কমিটির সদস্যরা চেম্বার জজ এ আপিল করেন ৬ ডিসেম্বর সিভিল পিটিশন (নাম্বার । মহামান্য চেম্বার জজ উক্ত সিভিল পিটিশনের পক্ষে এডহক কমিটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আট সপ্তাহের স্থিতিধাদেশ প্রদান করেন। কিন্তু কতিপয় দুষ্কৃতিকারী শিক্ষক ও অভিভাবক মহামান্য হাইকোর্টের চেম্বার জজের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ভুল ব্যাখ্যা ও মিথ্যাচার প্রচার করে যাচ্ছে এবং

 

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক খলিলুর রহমান নয়ন সরকারের প্রচলিত নতুন শিক্ষাক্রমের উপর আয়োজিত ৭ দিনের প্রশিক্ষণের ১ম দিন স্বাক্ষর করে প্রথম সেশনে বের হয়ে যান এরপর থেকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ না করে আদালত পাড়ায় ও পত্রিকা অফিসে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে যাচ্ছেন।খলিলুর রহমান নয়ন সরকারের নতুন আধুনিক শিক্ষা কারিকুলাম এর বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার ও কুৎসা রটাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে অধিকাংশ শিক্ষক কর্মচারী অনতিবিলম্বে স্থানীয় সাংসদ ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী আধুনিক মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version