বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল আলিম জুয়েল। সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস, অ্যাডভোকেট আশফাকুজ্জোহা, অ্যাডভোকেট আসালাম মিয়া ও অ্যাডভোকেট মো. মিনহাদুজ্জামান লিটন।
এর আগে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর রিটটি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। তার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের অন্য আইনজীবী মো. আসফাকোজ্জোহা রিটটি করেন। ওই রিটর শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন আদালত।
এ বিষয়ে সুবীর নন্দী দাস জানান, রিটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের নজির যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ১৯৮২ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের গঠিত বঙ্গবন্ধু হত্যাকাÐের ঘটনায় তদন্ত কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ পর্যালোচনা ও নিরীক্ষার লক্ষ্যে একটি স্বাধীন জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এর আগে গত বছরের ১৬ আগস্ট এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে রিটটির শুনানি দুই মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটির শুনানি নিয়ে আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য