-->

ফরিদপুরের দশ ইউনিয়নের সীমানা পুননির্ধারণে আইনি নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরিদপুরের দশ ইউনিয়নের সীমানা পুননির্ধারণে আইনি নোটিশ

ফরিদপুর সদর উপজেলাধীন নর্থ চ্যানেল, ডিগ্রিরচর, কৈজুরী, কানাইপুর, কৃষ্ণপুর, ঈশান গোপালপুর, গেরদা, আলিয়াবাদ, অম্বিকাপুর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা পুননির্ধারণ চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকাও সংশোধন চাওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে নোটিশে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে। ওই ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দাদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বুধবার এ নোটিশ দিয়েছেন।

 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক, ফরিদপুর সদর ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ওই দুই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রেজিস্টার্ড ডাকযোগে এবং ইমেইলযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

 

দশটি ইউনিয়ন পরিষদের অধিবাসী মো. আবুল কালাম খান, মো. আলমগীর হোসেন, দিলীপ কুমার বিশ্বাস, ঝরনা মন্ডল, মোহাম্মদ ওসমান গনি, ওহীদ শেখ, মো. সালাউদ্দিন খান, শেখ আনোয়ার, মো. সিকান্দার আলী মিয়া, মো. লালন চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, শিপ্রা বিশ্বাস, বেল্লাল মল্লিক, আকিজ মোল্লা ও আনন্দ কুমার বিশ্বাসসহ ওই ১০ ইউনিয়নবাসীর পক্ষে এ নোটিশ দেয়া হয়েছে।

 

নোটিশে বলা হয়েছে, ফরিদপুর সদর উপজেলাধীন নর্থ চ্যানেল, ডিগ্রিরচর, কৈজুরী, কানাইপুর, কৃষ্ণপুর, ঈশান গোপালপুর, গেরদা, আলিয়াবাদ, অম্বিকাপুর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা নির্ধারণ করে ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি গেজেট জারি করে সরকার। সীমানা পুননির্ধারণের সংশ্লিষ্ট আইনে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই এই সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশিত হয়। নিয়ম বহির্ভূতভাবে সীমানা নির্ধারণের ফলে ওই ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকগণ ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অপরিকল্পিতভাবে সীমানা নির্ধারণ করার ফলে একই পরিবারের সদস্যগণ ভিন্ন ভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ এবং ফরিদপুর পৌরসভার ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক লোক পৌরসভার ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হলেও ইউনিয়ন পরিষদে তথা পৌরসভায় হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে হচ্ছে। জমিজমা রেজিস্ট্রেশন, জন্ম নিবন্ধনসহ সকল সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মধ্যে বিরোধ তৈরি হচ্ছে। পদ্মা নদী তীরবর্তী নর্থ চ্যানেল এবং ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের হাজার হাজার ভোটার উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা নয় অর্থাৎ অবৈধভাবে হাজার হাজার ভোটার নর্থ চ্যানেল এবং ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা ভোটার তালিকা আইন,২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট বিধির স্পষ্ট লংঘন।

 

নোটিশে বলা হয়, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদ ফরিদপুর জেলার অধিভুক্ত। অন্যদিকে লেরচাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে মানিকগঞ্জ এবং ফরিদপুর জেলার সীমানা চিহ্নিত না হওযায় ওই ২টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে চরম সীমানা-বিরোধ, মারামারি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগেই থাকে। বিশেষ করে নির্বাচনের সময় সীমানা বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। একই জমি, হাট-বাজার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দুই ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি করায় মারামারির উৎপত্তি হয়। যা অতি দ্রুত নিরসন হওয়া প্রয়োজন। এ কারণেই সীমানা পুননির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা প্রয়োজন।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version