-->
হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল

বিপিসিতে ৪৭২ কোটি টাকা দুর্নীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিপিসিতে ৪৭২ কোটি টাকা দুর্নীতি

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে হাইকোর্টে উপস্থাপনের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করেছে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল কার্যালয়। বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।

 

আগামী ১৫ জানুয়ারি রোববার এ প্রতিবেদন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে দায়িত্বরত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

 

গত বছর ৬ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে ওই দুর্নীতির ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে বিপিসি চেয়ারম্যান ও কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ নির্দেশের পর গতকাল অডিট রিপোর্ট দাখিল করেছে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল কার্যালয়। ‘৪৭২.৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বিপিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান’ শিরোনামে একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে গত বছর ৪ নভেম্বর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

 

ওই প্রতিবেদন ৬ নভেম্বর আদালতের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এরপর আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন। প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি আদেশে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) ৫ পরিচালকের মধ্যে একজন এবং এর ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন।

 

রুলে বিপিসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), অডিটর জেনারেল ও বিপিসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

 

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) ২১ অনিয়মের কারণে সরকার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ২০১২-১৩ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানতে পেরেছে।

 

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনায় যেসব অসঙ্গতি দেখা গেছে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে শীর্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারা অর্থ আত্মসাৎ, উচ্চহার, ওভারটাইম, অনুপস্থিত তহবিল, মামলা-মোকদ্দমা ফি প্রদানে অনিয়ম ও আয়কর অধ্যাদেশ এবং ভ্যাট বিধি লঙ্ঘন। প্রতিষ্ঠানটির ৫ পরিচালকের একজন ও এর ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version