-->
কলাবাগানে আনুশকা হত্যা মামলা

দিহানের জামিন আবেদন খারিজ

জঘন্য অপরাধ, জামিন দেবার সুযোগ নেই-হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
দিহানের জামিন আবেদন খারিজ

রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড বিদ্যালয়ের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র আসামি নিহতের বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

 

আদালত বলেছেন, আসামির বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধের অভিযোগ। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী আছে। তাই এ পর্যায়ে জামিন দেবার সুযোগ নেই। তবে নি¤œ আদালতে বিচারাধীন মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন। দিহানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

 

২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহানের বাসায় মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।

 

দিহানের দাবি, আনুশকা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি নিজে। তবে চিকিৎসক আনুশকাকে মৃত ঘোষনা করেন। কিন্তু আনুশকার পরিবারের দাবি, ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে।

 

নিহতের পরিবার জানায়, গ্রুপ স্টাডির কথা বলে আনুশকাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। আনুশকা সকালে নিজেই তার মাকে জানান, পড়াশোনার প্রয়োজনে তাকে বাইরে যেতে হবে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দিহান নিজেই আনুশকার মাকে ফোন করে জানান, আনুশকা অসুস্থ। এরপর আবার দিহান ফোন করে জানান, আনুশকা মারা গেছে।

 

এ ঘটনার দিন রাতে কালবাগান থানায় দিহানকে আসামি করে মামলা করেন আনুশকার পিতা মো. আল আমিন। আনুশকাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। ওইদিনই দিহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

পরদিন ৮ জানুয়ারি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন দিহান। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে দিহান কারাবন্দি।

 

এ মামলায় ঢাকার একটি আদালতে ইতিমধ্যেই দিহানের বিচার শুরু হয়েছে। নিম্ন আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

 

এ অবস্থায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।

 

ভোরের আকাশ/নি 

 

মন্তব্য

Beta version