-->

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

 

একইসঙ্গে জাতীয়করণ করা ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরিকালের ৫০ শতাংশ সময় গণনা করে জ্যেষ্ঠতা নির্ধাারণ করতে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করা হয়েছে।

 

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ গতকাল রোববার এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ।

 

শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম কে রহমান, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, মোতাহার হোসেন সাজু, সাঈদ আহমেদ রাজা। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও নিগার সুলতানা।

 

পরে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, সরকার ২০১৩ সালে সারা দেশে ২৬১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চাকরির শর্তাদি নির্ধারণের জন্য ওইবছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ‘অধিগ্রহণ করা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৩’ জারি করে।

 

ওই বিধিমালার ২(গ)-ধারায় কার্যকর চাকরীকাল ৫০ শতাংশ গণনা করার কথা উল্লেখ আছে এবং একই বিধিমালার ৯(১)-ধারায় উল্লেখ্য আছে যে ‘কোনো শিক্ষকের নিয়োগ প্রদানের তারিখ হইতে কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে শিক্ষক পদে তাহার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে এবং ওই তারিখের অব্যবহিত পূর্বে নিয়োগ বিধির অধীন শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত সর্বশেষ ব্যক্তির নিচে ওই শিক্ষকের অবস্থান নির্ধারিত হবে’।

 

এ অবস্থায় ৯(১)-ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন শিক্ষকরা। এ রিট আবেদনে রুল জারি করা হয়। এই রুলের ওপর চ‚ড়ান্ত শুনানি নিয়ে শিক্ষকদের পক্ষে রায় ঘোষনা করেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version