-->

জাহাজভাঙা শিল্পের পিতল পাচার রোধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ

প্রধান প্রতিবেদক
জাহাজভাঙা শিল্পের পিতল পাচার রোধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ

জাহাজভাঙা শিল্পের পিতল পাচার প্রতিরোধ এবং এরসঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারসহ সংশ্লিস্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইভ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট-এর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব মঙ্গলবার ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

একইসঙ্গে নোটিশে প্রত্যেকটি জাহাজ থেকে প্রাপ্ত পিতলের পরিমাণ নিবন্ধন, জাহাজভাঙা শিল্প-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, এ শিল্পে ১৮ বছরের নিচের কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ না দেওয়া এবং শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

বাণিজ্য সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের(এনবিআর) চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনসহ ১১ জনের কাছে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পিতলের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। পিতল দিয়ে তৈরি হচ্ছে দামি আসবাব, বাথরুম ফিটিংস তথা দৈনন্দিন ব্যবহার্য অনেক সামগ্রী। পিতলের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান। এসব পিতলের একটি বড় অংশের যোগান আসে আন্তর্জাতিক দরপত্রে কেনা বিভিন্ন জাহাজ থেকে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে সংগৃহীত পিতল থেকে। বাকিটা সংগৃহীত হয় স্থানীয়ভাবে।

নোটিশে বলা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পিতলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এসব পিতল পাচার হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের পিতল নির্ভর কারখানাগুলোকে বেশি দামে ভারত এবং অন্যদেশ থেকে পিতল আমদানি করতে হয়। ফলে আমাদের দেশে পিতল সামগ্রির মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সাথে পিতল নির্ভর শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম হচ্ছে। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলছে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী পিতল পাচারের একটি সিন্ডিকেট নিজেরা লাভবান হয়ে পিতল পাচার করে দেশের ক্ষতি করছে যা বে আইনী এবং কোনভাবেই কাম্য নয়।

নোটিশে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ অনুযায়ী দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশ করার কথা বলা হয়েছে। কাজেই দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশে অবশ্যই জনস্বার্থ রক্ষায় পিতল পাচার বন্ধ করতে হবে। এছাড়া শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড গুলোতে শিশু শ্রমিক নিয়োগ করা হয় যা আইনসংগত নয়। জাহাজ ভাঙা শিল্প কারখানায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং নিরাপত্তা সামগ্রীর অভাবে প্রতিবছর বহু সংখ্যক শ্রমিক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হতাহত হন। যার তেমন কোন প্রতিকার নেই।

মন্তব্য

Beta version