-->
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন

জীবাশ্ম জ্বালানি তেল নিয়ে চাপের মুখে বিশ্ব নেতারা

মোতাহার হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে
জীবাশ্ম জ্বালানি তেল নিয়ে চাপের মুখে বিশ্ব নেতারা

মোতাহার হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে: জীবাশ্ম জ্বালানীর উষ্ণতা তিমাত্রায় ব্যবহারে বিশ্ববাসিকে উদ্ধিঘ্ন করে তুলছে। একই সঙ্গে ধরিত্রকে অতিমাত্রায় উষ্ণতা করে তুলছে। কিন্তু এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই। এ কারণে জীবাশ্ম জ্বালানী তৈল নিয়ে এ বারের সম্মেলনে চাপের মুখে পড়েছে জ্বালানী তৈল সমৃদ্ধ ও জ্বালানী তেল উৎপাদনকারি দেশ সমূহ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৮ এ বিস্তারিত আলোচনা এবং ধীরে ধীরে জ্বালানী তেলের বিকল্প উৎস ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

 

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ব্যাপকভাবে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। দুর্যোগে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। প্রতি বছরই একাধিকবার ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিকম্প মোকাবিলা করছে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এর জন্য উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণই প্রধানত দায়ী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে সহায়তার প্রাপ্তির অভাব রয়েছে। তাই এ লক্ষ্যে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য পৃথক লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড গঠন করে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ ও সহায়তা বাড়ানোর দাবি উঠেছে।

 

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৮) সপ্তম দিনের সভায় এ দাবি জোরলো হয়। এদিন জীবাশ্ম জ্বালানি তথা কার্বন নির্গমনকারী জ্বালানি তেল বন্ধের ব্যাপারে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েন বিশ্ব নেতারা। উন্নত বিশ্বের কাছে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে সম্মেলনের সাইড লাইনে পৃথক সমাবেশ ও আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।

 

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সামাজিক ও আর্থিক প্রভাব যা একেবারেই এড়ানো যায় না, সেটাই মূলত ‘ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতি’ বা লস অ্যান্ড ড্যামেজ। কপ২৮ এর প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল জাবের এদিন সম্মেলনে জানান, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সম্মেলনের প্রথম পাঁচ দিনে ৮৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি জমা হয়েছে। জলবায়ু কর্মে এটি একটি নতুন যুগের গতি স্থাপন করেছে। একই সময়ে ১১টি বিষয়ে অঙ্গীকার বা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যা এবারের সম্মেলনকে স্বার্থক করবে। তিনি বলেন, তহবিল বিশ্বব্যাপী অতিরিক্ত ২৫০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করতে চায়।

 

সম্মেলনে মূল আলোচনায় জাতিসংঘের জলবায়ু প্রধান সাইমন স্টিয়েল আলোচকদের আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটি অর্থবহ ও কার্যকর চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানান। যাতে বিশ্ব গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের লক্ষ্যগুলো পূরণ করে। তিনি বলেন, ‘এখন মূল বিষয় হলো তুষ থেকে গম বাছাই করা। আমরা যদি এখন জীবন বাঁচাতে চাই এবং কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে পৃথিবীর তাপমাত্রাকে ১.৫ এর মধ্যে রাখতে চাই। এক্ষেত্রে আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। গ্লোবাল স্টক টেক অর্জনের লক্ষ্য পূরণে একযোগে কাজ করতে হবে।’

আলোচনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীরা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে রেকর্ড কার্বন নির্গমনের নতুন রিপোর্ট দিয়ে সতর্ক করেন। শুধু তাই নয়, ফসিল ফুয়েল বা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ২০২৩ সালে কার্বন নির্গমন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। কার্বন নির্গমন পরিস্থিতি উন্নতির পরিবর্তে গত দুই বছরে আরও অবনতি হয়েছে। এই নির্গমনের পরিমাণ এ বছর ৪০.৯ গিগাটনে গিয়ে পৌঁছাবে।

বিশ্বের ১২০ জন বিজ্ঞানীর এই নতুন প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, বায়ুমণ্ডলে কার্বন দূষণের ফলে পৃথিবী পাঁচটি বিপর্যয়কর জলবায়ু টিপিং পয়েন্ট অতিক্রম করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। যদি পৃথিবীর গড় উষ্ণতা এক দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উত্তপ্ত হয় তবে ২০৩০ সালে আরও তিনটি দৃশ্যমান হবে। নতুন রিপোর্ট প্রসঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের গ্লোবাল সিস্টেম ইনস্টিটিউটের টিম লেন্টন বলেছেন, ‘পৃথিবী সিস্টেমের টিপিং পয়েন্টগুলো এমন একটি বিশালতর হুমকি সৃষ্টি করেছে। যার মুখোমুখি বিশ্ব মানবতা অতীতে হয়নি।’ এদিন ক্লাব অব রোমের ৭৫ জন বিজ্ঞানী কপ নেতৃবৃন্ধের উদ্দেশ্যে এক খোলা চিঠি দিয়েছেন। খোলা চিঠিতে তারা বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ এবং বিজ্ঞান একে অপরের পরিপূরক। একটির সঙ্গে অন্যটি জড়িত। এ ব্যাপারে বিজ্ঞান নিয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই। প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হলে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমন নিশ্চিত করলেই হবে না, ওই সময় পর্যন্ত বিশ্বে যে কার্বন ডাই অক্সাইড বিদ্যমান থাকবে তা শোষণ করার জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।

জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়ে এসব রিপোর্ট পরিবেশবাদীদের আরও উদ্ভিঘ্ন করে তুলেছে। তারা দিনভর জলবায়ু সম্মলন কেন্দ্রের ভেতরে নানা স্লোগানে তাদের প্রতিবাদ জানিয়ে জলবাযু সম্মেলনের নীতি নির্ধারকদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তারা চাইছেন, এবারের জলবায়ু সম্মেলনেই জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের ব্যাপাারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের এক পরিবেশবাদী নাগরিক সংগঠন ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সম্মেলন কেন্দ্রে একাধিক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ধনী দেশগুলোর ব্যবসায়ীক মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে বৈশ্বিক উষ্ণতা তথা কার্বন নির্গমন হ্রাসের কোনো উন্নতি হব না।’

 

অন্যদিকে, জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) দ্বারা প্রকাশিত দ্বিতীয় খসড়াটি জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন থেকে চূড়ান্ত চুক্তি হতে পারে। এটি দেখায় যে আলোচকরা জীবাশ্ম জ্বালানির একটি ‘সুশৃঙ্খল এবং ন্যায্য’ পর্যায় আউট করার আহ্বান বিবেচনা করছেন।

 

এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বরাদ্দের দাবি

 

লস এ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মালদ্বীপের জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও জ্বালানি মন্ত্রী তরিক ইব্রাহিম। সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট'স ফোরামের সঙ্গে সম্মেলনে ব্লুজোনের ৩৩ নম্বর কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি করেন। সংগঠনের সভাপতি আশিস গুপ্তার সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব আসাদুজ্জামান সম্রাটের সঞ্চালনায় এই মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, সহসভাপতি রাবনেওয়াজ চৌধুরী ও শ্রীরাম সুবেদী।

 

অভিযোজনে আরও অর্থ বরাদ্দ দাবি

স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অভিযোজনে জোরালো ভূমিকা রাখতে আরও অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে জলবায়ু বিষয়ে গ্লোবাল সাউথে কর্মরত সংস্থাগুলো। গত মঙ্গলবার কপ২৮ সম্মেলনের সাইড ইভেন্টে ব্র্যাক আয়োজিত এক আলোচনায় এ দাবি উঠে আসে। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরাও এতে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে আমাদের মানুষরা জলবায়ু-সংকট অভিযোজনের চর্চা করে এসেছে। সহনশীলতার সীমায় পৌঁছার আগেই আমাদের এই চর্চার সুবিধা গ্রহণ করতে হবে।’

 

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশের ৩ দফা সুপারিশ

 

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জার্মান ওয়াচের ২০১০ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতির বিচারে শীর্ষ ১০টি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে প্রথমেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ।

 

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব জিওগ্রাফির একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রবল গরম ও খরার মুখোমুখি হতে চলেছে বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষ। প্রবল উষ্ণায়ন ও স্থলভাগে পানির সংকট- এ দুই কারণে পৃথিবীজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দশ গুণ বাড়বে। কার্বন নিঃসরণও সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে। এতে অর্থনীতিও প্রভাবিত হবে। ধনীরা আরও ধনী হবেন এবং গরিব আরও গরিব হবেন। এমন প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ধনী দেশগুলো প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি।

 

গত এক সপ্তাহে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এবারের জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৮) ৫৭ বিলিয়ন ডলার তহবিলে জমা হয়েছে। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন কপের প্রেসিডেন্ট ড. সুলতান আল জাবের। তিনি এই তথ্য জানিয়ে জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোর উদ্দেশে বলেন, ‘এখন সময় এসেছে আমাদের গুরুত্ব সহকারে সহযোগিতা করার এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। এবারের জলবায়ু সম্মেলনের প্রথমদিনে ৪২৩ মিলিয়ন ডলার তহবিলে জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশগুলো।

 

বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নে আয়োজিত সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুরোগসহ অন্যান্য ভেক্টর-বর্ণ ডিজিজসমূহ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনই দায়ী। এই জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো দায় এড়াতে পারে না। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি কমিয়ে নিতে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে সহযোগিতার হাত আরও প্রসারিত করতে হবে, পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।’

 

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তিনটি সুপারিশ দেন।

 

১. জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মানানসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে;

 

২. স্বাস্থ্যখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে; এবং

 

৩. আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতার ওপর জোর দিতে হবে। অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট বক্তা হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমও অংশ নেন।

 

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুর হামিদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা এখন ক্লিন এনার্জির কথা বলছি। সৌর বিদ্যুৎ সহ কয়েকটা জায়গাতে আমরা এখন অনেক বেশি কাজ করছি। আমরা বর্তমানে ১০ থেকে সাড়ে ১০ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। আরেকটি বড় জিনিস হচ্ছে বায়ু বিদ্যুৎ। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ১৬ মেগাওয়াটের মতো বায়ু বিদ্যুৎ আমরা প্রায় বাস্তবায়ন করে ফেলেছি। কিছুদিনের মধ্যে ৩০ মেগাওয়াটের মতো একটি প্রজেক্ট চলে আসবে। বায়ুবিদ্যুতে একটি বড় বিষয় হচ্ছে আমরা দিনে-রাতে সব সময়ই বিদ্যুৎ পাচ্ছি। আমরা আশপাশের দেশ থেকেও বিদ্যুৎ নেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে দূষণ তৈরি হয়, তা ৪০ শতাংশ কমাতে যে কমিটমেন্ট করেছিলাম, তা বাস্তবায়ন করতে পারব।’

 

অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, এডিবির বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং বক্তব্য রাখেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করে বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব নিরোদ চন্দ্র মন্ডল।

সবুজ অর্থায়নে এক ট্রিলিয়নের প্রতিশ্রুতি

 

সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্যাংকস ফেডারেশন সবুজ অর্থায়নে এক ট্রিলিয়ন দিরহাম অর্থাৎ ২৭০ বিলিয়ন একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউএই ব্যাংকস ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ আল ঘুরাইর সম্মেলনে বলেন, ‘কৃষকদের মাটির গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করাসহ জলবায়ু সুরক্ষায় সবুজ অর্থায়নে ব্যয় হবে।’

 

জীবাশ্ম জ্বালানি তেল নিয়ে চাপের মুখে বিশ্ব নেতারা

 

এবারই প্রথম জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যকে যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, স্বীকার করে নেওয়া হলো জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের ওপরেও। কপ২৮ শীর্ষ সম্মেলনের চতুর্থ দিনকে স্বাস্থ্যসেবা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। আর এই দিনটিতেই দুবাইয়ের আকাশে অস্বাস্থ্যকর ধোঁয়াশার চাদরে অস্পষ্ট হয়েছিল।

 

আন্তর্জাতিক দূষণ ট্র্যাকার অনুযায়ী, বায়ুর গুণমান সূচক পিএম ২.৫ দূষণের প্রতি ঘনমিটারে ১৫৫ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছেছিল। এই তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বায়ুর গুণমান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হওয়ার ফলে ‘সবাই স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব অনুভব করতে পারে; সংবেদনশীল গোষ্ঠীর সদস্যরা আরও গুরুতর স্বাস্থ্য প্রভাব অনুভব করতে পারে।’

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version