-->
জাতিসংঘের মূল্যায়ন

বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসছে

ঢাকা: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে জ্বালানি তেলসহ খাদ্যপণ্যের দামেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এর ঢেউ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই পড়তে থাকে। তবে সম্প্রতি সময়ে ধীরে ধীরে খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে খাদ্যপণ্য মূল্যসূচকে জাতিসংঘের মূল্যায়নে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, গত ৬ মাসে বিশ^জুড়ে চিনি, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্য খানিকটা কমেছে। অন্যদিকে বেড়েছে ধান-গম-ভুট্টার মতো খাদ্যশস্যের দাম। তবে সার্বিক বিচারে ধীরে ধীরে খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় মাত্রায় পৌঁছাচ্ছে।

 

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও) বিশ্লেষণ করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খাদ্যপণ্যের বৈশি^ক বাজার বিশ্লেষণে ১৯৬২ সাল থেকে করে আসছে ফাও। তারা জানায়, যুদ্ধ শুরুর পর চলতি বছরের মার্চ মাসে সেই সূচক ঠেকেছিল রেকর্ড ১৫৯.৭ পয়েন্টে। এর অর্থ খাদ্যপণ্যের বাজারমূল্য দিন দিন অসহনীয় পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে। গত ৬০ বছরের ইতিহাসে এত অল্প সময়ের মধ্যে বিশ^জুড়ে খাদ্যপণ্যের দামের এ পরিমাণ উল্লম্ফণ ঘটেনিও বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে এপ্রিল মাস থেকেই ধীরে ধীরে এ মূল্য কমতে।

 

এতে বলা হয়, সেপ্টেম্বর মাসে বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যে মূল্যসূচকের অবস্থান ছিল ১৩৬.৩ পয়েন্টে। আগস্টে সূচকের অবস্থান ছিল ১৩৭.৯ পয়েন্টে। অর্থাৎ ধীরে ধীরে বিশ্বে কমে আসছে খাদ্যপণ্যের দাম। সূচক বিশ্লেষণ করে আরো জানায়, শতকরা হিসাবে গত ৬ মাসে বিশ্বে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ৬.৬ শতাংশ; আর চিনি, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্য ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে চাল ও গমের দাম বেড়েছে ২.২ এবং ভুট্টার দাম বেড়েছে ১.৫ শতাংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খরা, বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে উৎপাদন কম হওয়াই এ মূল্যবাড়ার কারণ উল্লেখ করা হয়।

 

ভোরের আকাশ/এসআর/জেএস/

মন্তব্য

Beta version