-->

টেক্সাসে ট্রাকে মিলল ৪৬ অভিবাসীর মরদেহ, যুক্তরাষ্ট্রে চাঞ্চল্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
টেক্সাসে ট্রাকে মিলল ৪৬ অভিবাসীর মরদেহ, যুক্তরাষ্ট্রে চাঞ্চল্য
ছবি: বিবিসি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি ট্রাকে ৪৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মরদেহগুলো অভিবাসীদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, মরদেহগুলো ট্রাকের মধ্যে পড়েছিল। টেক্সাসের স্যান অ্যান্তোনিওতে বিমানঘাঁটির কাছে পাওয়া গেছে ট্রাকটি।স্থানীয় মিডিয়া প্রথমে এই খবর প্রকাশ করে। 

পুলিশ জানিয়েছে, এ ধরনের এত বড় ঘটনা টেক্সাসে কখনো হয়নি। স্যান অ্যান্তোনিও থেকে মেক্সিকোর সীমান্ত ২৫০ কিলোমিটার দূরে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা সোমবার রাতে জানিয়েছেন, ১৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

কর্মকর্তাদের মতে, মৃতরা সকলেই অভিবাসন-প্রত্যাশী। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সীমান্তে অপহরণ ও মানবপাচার নিত্যদিনের ঘটনা। তবে এত বড় মাপের ঘটনা কখনো ঘটেনি।

দমকল বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মরদেহগুলো খুব গরম ছিল এবং দেখে মনে হচ্ছিল, তারা খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবে তারা কোন দেশের নাগরিক তা সরকারি কর্মকর্তারা জানাননি।

টেক্সাস ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী. মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তদন্তও শুরু হয়েছে।

শহরের মেয়র রন নিরেনবার্গ বলেছেন, 'অভিবাসন-প্রত্যাশীদের আশ্রয় চাওয়ার বিষয়টি একটা মানবিক সংকট। কিন্তু এখানে যা হয়েছে তা হলো মানবিক ট্র্যাজেডি। সকলে যেন প্রার্থনা করেন, সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি দেখেন, তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করেন।'

টেক্সাসের ওই অঞ্চলে এখন খুবই গরম। সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারই মধ্যে ওই ব্যক্তিদের ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

মেক্সিকোর কনসুলেট থেকে কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, 'আমরা এখনো জানি না, তারা কোন দেশের মানুষ।'

হন্ডুরাসও খোঁজখবর নিচ্ছে, তাদের দেশের কেউ মারা গেছেন কি না। কিন্তু এখনো মার্কিন কর্মকর্তারা জানাননি, ট্রাকে মৃত মানুষরা কোন দেশের।

এদিকে, টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট টুইট করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নীতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি ওপেন বর্ডার বা খোলা সীমান্ত নীতি নিয়ে চলছেন। যার ফল মারাত্মক হতে বাধ্য।

সূত্র : বিবিসি, ডয়েচে ভেলে

মন্তব্য

Beta version