logo
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৭:৪৩
দাবি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের
পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে বিদ্রোহীরা

পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের তিন সশস্ত্র গোষ্ঠীর জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যের যুদ্ধে হারছে জান্তা বাহিনী। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ব্রাহারহুড অ্যালায়েন্স একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে তারা জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী একের পর এক সেনা ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে।

 

বিদ্রোহীদের এ জোট আরও দাবি করেছে, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছোট ও বড় ক্যাম্পের সেনারা বিদ্রোহীদের কাছে খুব দ্রুতই আত্মসমর্পন করবে। যেসব ক্যাম্পের সেনারা এখনো আত্মসমর্পণ করেনি; তাদের বিরুদ্ধে আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধারা হামলা অব্যাহত রেখেছে।

 

ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স আরও জানিয়েছে, জান্তাবাহিনী তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার চেস্টা করছে। তারা আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের অগ্রসর ঠেকাতে পথে পথে বাধা সৃষ্টি করছে। এমনকি বেশ কয়েকটি ব্রিজও ধ্বংস করেছে তারা।

 

জান্তা বাহিনী বর্তমানে যেভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করছে; এতে বোঝা যাচ্ছে তারা যুদ্ধে হারছে— বিবৃতিতে দাবি করেছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।

 

বাংলাদেশ-ভারতকে যে সতর্কবার্তা দিলো যুক্তরাষ্ট্র নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে হামলার আতঙ্কে গ্রামবাসী রাখাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মাইন হামলার মাধ্যমে তাংগুপ শহরের কাছে অবস্থিত মা ই ব্রিজ ধ্বংস করে দেয় জান্তা বাহিনী। পরের দিন আরও দুটি ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়া হয়।

 

মা ই ব্রিজ ধ্বংস করতে যে মাইন ব্যবহার করা হয়; সেটি বিস্ফোরিত হয়ে স্থানীয় একটি স্কুলসহ আরও কয়েকটি ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি সেনারা রাখাইনের রাজধানী সিত্তেতে প্রবেশের মিন চং (আকা) আহ মিয়ান্ত কায়ুন ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়। যা সিত্তে-ইয়াঙ্গুন মহাসড়কের কাছে অবস্থিত।

 

তবে নিজেদের রক্ষায় জান্তা বাহিনী যেসব ব্রিজ ধ্বংস করেছে সেগুলো সাধারণ মানুষ এবং পণ্য পরিবহনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।

 

গত বছরের অক্টোবরে আরাকান আর্মিসহ তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী জোট গঠন করে। এরপর জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত হামলা চালানো শুরু করে। ওই হামলায় টিকতে না পেরে অনেক স্থান ছেড়ে চলে গেছে জান্তা বাহিনী।

 

সূত্র: নারিনজারা নিউজ

 

ভোরের আকাশ/মি