logo
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০২৩ ১২:৪২
শমিতা শেঠি'র জীবনের না পাওয়ার যন্ত্রণা
অনলাইন ডেস্ক

শমিতা শেঠি'র জীবনের না পাওয়ার যন্ত্রণা

বলিউড তারকা শিল্পা শেঠির ছোট বোন শমিতা শেঠিও বলিউড অভিনেত্রী। তিনি যশ রাজ ফিল্মসের ‘মহব্বতে’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন। ওই ছবিতে তার সহশিল্পী ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান আর ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের মতো তারকারা। আদিত্য চোপড়া পরিচালিত এই ছবি দিয়ে আইফা পুরস্কারও জয় করেছিলেন শমিতা।

 

বলা যায়, বলিউড অভিনেত্রী হিসেবে শমিতা'র অভিষেকটা বেশ জাঁকালোই হয়েছিল। কিন্তু যশ রাজ ফিল্মসের মতো ব্যানারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। আর তাই তো শুরুতেই তার ক্যারিয়ারের ভরাডুবি হয়েছিল। পরবর্তীতে শমিতা বলিউড থেকে হারিয়েও গিয়েছিলেন।

 

এবার শমিতাকে নিয়ে নতুন খবর হলো - ১৬ বছর পর আবার বড় পর্দায় ফিরেছেন তিনি। সম্প্রতি ‘দ্য টেন্যান্ট’ ছবিতে শমিতা শেঠিকে দেখা গেছে।

 

ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, নিজের অভিনীত এই ছবির মুক্তি উপলক্ষে সম্প্রতি তার জীবনের না পাওয়ার যন্ত্রণা নিয়ে নানা কথা বলেছেন শমিতা। ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে বলেছেন, যশ রাজ'র সঙ্গে আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম। কিন্তু এরপরও আমাকে যেসব ছবির প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছিল, তা একদমই আমার আশানুরূপ ছিল না। ‘

 

মহব্বতে’ আর ‘জ্যাহের’ ছবিতে অভিনয়ের সময় আমি অনুভব করি যে, অভিনয় করাটা আমি কতটা উপভোগ করি। আর কাজের প্রতি তখন একটু লোভী হয়ে পড়েছিলাম। আরও বেশি করে কাজ করতে চাইতাম আমি। কিন্তু অভিজ্ঞতা অন্য রকম, ইন্ডাস্ট্রি আমাকে কাজ দিচ্ছিল না। আমি তখন মনে মনে যা চেয়েছিলাম, তার কিছুই হচ্ছিল না।

 

কথা প্রসঙ্গে শমিতা শেঠি আরও বলেন, বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমি ২০ বছরের বেশি সময় পার করে ফেলেছি। এখানে আমার ক্যারিয়ার ভ্রমণ মোটেও সহজ ছিল না। সব সময় অর্থই সবকিছু নয়। নিজের শিল্পীস্বত্ত্বা প্রকাশ করতে চান একজন শিল্পী।

 

কিন্তু নিজের প্রতিভা দেখানোর যথেষ্ট সুযোগ আমি পাইনি। কারণ, অনেক কষ্টেসৃষ্টে আমার একটা ছবি মুক্তি পেতো। তিনি বলেন, সব সময় দুই - তিন বছরের ব্যবধানে আমার পরবর্তী ছবি মুক্তি পেত। আমার গায়ে অনায়াসেই “কামব্যাক” তকমাটা লাগিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু আমি বুঝে উঠতে পারতাম না, এর মধ্যে “কামব্যাক” কোথায়!

 

শমিতা মনে করেন, এবার আর তাকে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। শমিতা'র ভাষায় - আশা করি মানুষ আমার প্রতিভা এবার দেখতে পাবেন। আর আগামী দিনে আমি ভালো ভালো কাজ পাবো। এখনও আমি কাজের জন্য লোভী।

 

এখনও আমার অনেক কিছু করার বাকি আছে। আমার নিজের প্রতি আর নিজের প্রতিভার প্রতি আস্থা আছে। আমি সব সময় আশাবাদী। একবার আশা ছেড়ে দিলে আর এগোতে পারবো না।

 

উল্লেখ্য, ‘টেন্যান্ট’ এর আগে ‘ক্যাশ’ ছবিতে শমিতাকে শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছিল। ছবিটি ২০০৭ সালে মুক্তি পায়।

 

ভোরের আকাশ/নি