logo
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:২২
বিএনপির আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই : ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই : ওবায়দুল কাদের

গণঅভ্যুত্থান নয়, বিএনপি গণআন্দোলনের ঢেউও তুলতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

তিনি বলেন, ‘তাদের আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। আন্দোলন শুধু তাদের নেতাদের মধ্যে সীমিত।’ ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বকশীবাজার নবকুমার ইনস্টিটিউটশন ও ডক্টর শহীদুল্লাহ কলেজ প্রাঙ্গণে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মতিউর রহমান মল্লিকের বেদিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি একটা কথা বলতে চাই, আজকে বিএনপি অভ্যুত্থানের কথা বলে। তাদের যে আন্দোলন এটা তাদের নেতাকর্মীদের আন্দোলন, এখানে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ভূখন্ডের ইতিহাসে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল বাস্তবে একটি, সেটি ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। ’৯০-এর আন্দোলন ছিল গণআন্দোলন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের ৭ মার্চের ভাষণ শুনে জেনারেল জিয়াউর রহমান বলেছিলেন আমরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য, আজকে বিএনপি এই দিনগুলো স্বীকার করে না, এই ঐতিহাসিক দিনগুলো পালন করে না। ৭ মার্চ, ৭ জুন, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার দিবস তারা পালন করে না। ১০ জানুয়ারি তারা পালন করে না। আজকের ২৪ জানুয়ারি অভ্যুত্থান দিবস ছিল, স্বাধীনতার পথে চূড়ান্ত মাইলফলক। এই ঐতিহাসিক মাইলফলককেও তারা অস্বীকার করে।

 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সিদ্ধান্তই নেবে, আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে বলে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা সব আসনে ইভিএম চেয়েছিলাম। এবারের নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা সব আসনে ইভিএমের দাবি করেছি। এখন সিদ্ধান্ত আমাদের না, আমরা শুধু দাবি করেছি। এখন ইসি যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা (আওয়ামী লীগ) তা মেনে নেব।’

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ছিল উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে দুটি ছাড়া ১৬৭টি আসনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল এবং এই বিজয়ী দলকে পাকিস্তান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে গড়িমসি করায় বঙ্গবন্ধু এক দফায় চলে যান, তা হলো স্বাধীনতা। আজকে অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করে। কিন্তু সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারো ছিল না।

 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে বিপুল সংখ্যক আসনে জয়লাভ করেছিলেন, একমাত্র তারই বৈধ অধিকার ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা। কাজেই অন্য কারো স্বাধীনতা ঘোষণা করার কোনো অধিকার ছিল না, অন্যরা স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ছিল। এটা হলো বাস্তবতা।

 

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সংসদ সদস্য হাজি সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

ভোরের আকাশ/নি